বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে এবং ২০২৪ সালে এই সেক্টরে বেশ কয়েকটি ব্যাংক শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে। এই ব্লগে আমরা ২০২৪ সালে শীর্ষ ১০ টি লাভজনক ব্যাংকের তালিকা নিয়ে আলোচনা করব। এগুলো হলো: ব্রাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক পিএলসি, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক।
ব্রাক ব্যাংক
ব্রাক ব্যাংক বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন থেকেই এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। ব্রাক ব্যাংক উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা প্রদান করে। এর গ্রাহক কেন্দ্রিক পরিষেবা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যাংকটিকে আরও লাভজনক করেছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (ডিবিবিএল) বাংলাদেশের প্রথম যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি ব্যাংক। এটি ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শুরু থেকেই এটি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক তার গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ডিজিটাল ব্যাংকিং সুবিধা, যেমন মোবাইল ব্যাংকিং এবং এটিএম সেবা প্রদান করে। এছাড়াও, ব্যাংকটি সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখছে।
সিটি ব্যাংক
সিটি ব্যাংক বাংলাদেশের একটি পুরানো এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক। এটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তখন থেকে এটি বিভিন্ন প্রকার ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। সিটি ব্যাংক কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এবং খুচরা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী সেবা ও পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক পিএলসি
পূবালী ব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি। এটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি দেশের প্রাচীনতম ব্যাংকগুলির মধ্যে একটি। পূবালী ব্যাংক তার গ্রাহকদেরকে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে এবং এর শাখাগুলি দেশের প্রতিটি জেলায় রয়েছে। ব্যাংকটি কৃষি, এসএমই এবং রেমিট্যান্স ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়।
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি (আইবিবিএল) বাংলাদেশের প্রথম ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আইবিবিএল এর সেবা এবং পণ্যের মধ্যে রয়েছে মুদারাবা, মুশারাকা, ইজারা, এবং অন্যান্য শরিয়াহ সম্মত বিনিয়োগ পণ্য। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা প্রদান করে এবং লাভজনকতা বৃদ্ধি করে।
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড
ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল) ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক। ইবিএল কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এবং খুচরা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন উদ্ভাবনী সেবা ও পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
প্রাইম ব্যাংক
প্রাইম ব্যাংক ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এবং খুচরা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়। প্রাইম ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
ট্রাস্ট ব্যাংক
ট্রাস্ট ব্যাংক ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এবং খুচরা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়। ট্রাস্ট ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক
প্রিমিয়ার ব্যাংক ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এবং খুচরা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়। প্রিমিয়ার ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক
শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি একটি বেসরকারি ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি মুদারাবা, মুশারাকা, ইজারা, এবং অন্যান্য শরিয়াহ সম্মত বিনিয়োগ পণ্য প্রদান করে। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা প্রদান করে এবং লাভজনকতা বৃদ্ধি করে।
এক্সিম ব্যাংক
এক্সিম ব্যাংক (এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ লিমিটেড) ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং এটি বিশেষত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন ও আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রমে বিশেষভাবে সক্রিয়। এক্সিম ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক
ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এফএসআইবিএল) ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি মুদারাবা, মুশারাকা, ইজারা, এবং অন্যান্য শরিয়াহ সম্মত বিনিয়োগ পণ্য প্রদান করে। ব্যাংকটি তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা প্রদান করে এবং লাভজনকতা বৃদ্ধি করে।
উত্তরা ব্যাংক
উত্তরা ব্যাংক ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি বাংলাদেশের একটি প্রাচীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এবং খুচরা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সক্রিয়। উত্তরা ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
আইএফআইসি ব্যাংক
আইএফআইসি ব্যাংক (ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক) ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং এটি বিশেষত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অর্থায়ন ও আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রমে বিশেষভাবে সক্রিয়। আইএফআইসি ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি) ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং এটি বিশেষত এসএমই ব্যাংকিং, খুচরা ব্যাংকিং, এবং কর্পোরেট ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সক্রিয়। এমটিবি তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
যমুনা ব্যাংক
যমুনা ব্যাংক ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং এটি বিশেষত এসএমই ব্যাংকিং, খুচরা ব্যাংকিং, এবং কর্পোরেট ব্যাংকিং ক্ষেত্রে সক্রিয়। যমুনা ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা এবং উদ্ভাবনী পণ্য প্রদান করে যা তাকে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করতে সহায়ক হয়েছে।
২০২৪ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন দেখিয়েছে এবং এই শীর্ষ ১০ টি ব্যাংক তাদের সেবার মান, উদ্ভাবনী পণ্য, এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে লাভজনকতার শীর্ষে অবস্থান করেছে। এসব ব্যাংক গুলির উন্নতি এবং অগ্রগতি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং তারা তাদের গ্রাহকদের সেরা সেবা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।