বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং একটি জনপ্রিয় Banking পদ্ধতি অনুসরণ করে। ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেমে সুদের কোনো স্থান নেই। এটি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পরিচালিত হয়। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) দেশের অন্যতম প্রধান ইসলামী ব্যাংক। অনেকেই ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পর বিভিন্ন প্রয়োজনে তাদের একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স চেক করতে চান। এই ব্লগে আমরা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম এবং পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করবো।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম:
আমরা যারা ব্যাংকিং নিয়ে লেনদেন করি, তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাংক। আমরা ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার বিষয়টি জানার আগেই ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিতে পারি। কারণ ইসলামী ব্যাংক আমাদের সবারই জনপ্রিয় একটি ব্যাংক। যেটা বাংলাদেশের মধ্যে নাম্বার ওয়ান একটি ব্যাংক।
এই ব্যাংকের মধ্যে আপনি যদি লেনদেন করেন, সেটি শরিয়া মোতাবেক হবে, এবং শরিয়ত মোতাবেক হচ্ছে কিনা সেটি আপনি যাচাই করে নিতে পারবেন। যদি কোন লেনদেন শরিয়া মোতাবেক হচ্ছে না মনে হয়, তাহলে আপনি এই লেনদেন এই ব্যাংকের মধ্যে মাধ্যমে করবেন না। কারণ ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে, একটি শরিয়া মোতাবেক ব্যাংক।
আগেকার সময়ে যে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ম নীতি ছিল সেগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে যদিও ইসলামের নাম দিয়েই তারা ব্যাংকিং লেনদেন করে যাচ্ছে, কিন্তু অনেকগুলো লেনদেনের ক্ষেত্রে ইসলামিক করার নিয়ম নীতি নাই। তারা শুধুমাত্র তাদের লাভের আশায় সুদের লেনদেন শুরু করছে।
অনেকের মতামতে এটি বলা হচ্ছে, তাই আপনি আসলেই এটি সত্য কিনা, সেটাই যাচাই করার জন্য প্রথমে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। এবং সেগুলো যাচাই-বাছাই করতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার বিভিন্ন পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট চেক করার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে যতগুলো ব্যাংক রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। তাই আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের মধ্যে লেনদেন করতে চান, তাহলে এই ব্যাংকের মধ্যে লেনদেনের যে সকল প্রকার রয়েছে, সেই প্রকার গুলো সম্পর্কে আপনার জানা উচিত!
এখন আমরা ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন লেনদেনের সম্পর্কে জানব। কারণ বিভিন্ন লেনদেনের প্রকাশ সম্পর্কে জানলে, আমরা কোন মাধ্যমে লেনদেন করলে ভালো হবে, সেটি বুঝতে পারব।
এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো:
ইন্টারনেট ব্যাংকিং:
ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একাউন্ট চেক করা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি। আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে আপনার একাউন্টের তথ্য চেক করতে পারেন।
বর্তমানে ডিজিটাল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যে কোন জায়গা থেকেই আপনার অ্যাকাউন্ট চেক করার সহজ পদ্ধতি চালু করছে সকল ব্যাংক। তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে, আরেকটি স্বনামধন্য ব্যাংক। যাদের একাউন্ট গুলো অনলাইন এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে আপনার একাউন্ট চেক করতে পারবেন। এর ফলে আপনি মুহুর্তের মধ্যে আপনার একাউন্টে কত টাকা রয়েছে, এবং কত টাকা কোন জায়গায় খরচ করেছেন, সেই স্টেটমেন্ট সহ দেখতে পারবেন।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহারের ধাপসমূহ:
আপনি যদি আগে থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং কোন সময় ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে কিভাবে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করবেন, এর ধাপ সহ জেনে নিতে পারেন। এখানে আমরা ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করা যে সকল ধাপ রয়েছে, তা উল্লেখ করেছি। যেন আপনি এটি ব্যবহার করতে আপনার জন্য সহজ হয়।
- প্রথমে আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে যেতে হবে (www.islamibankbd.com)।
- সেখানে লগইন অপশনে ক্লিক করে, আপনার আইডি এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করতে হবে।
- লগইন করার পর আপনি আপনার একাউন্টের সব তথ্য দেখতে পাবেন, যার মধ্যে ব্যালেন্স, লেনদেনের ইতিহাস ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম:
মোবাইল ব্যাংকিং হলো একাউন্ট চেক করার আরেকটি সুবিধাজনক মাধ্যম। আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। একসময় যদিও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ভালো কাজ করেছিল, কিন্তু আরো উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসার মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এটি বাংলাদেশের মধ্যে আরও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
Central banks and commercial bank: কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের সম্পর্ক
এমনকি ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট চেক করার জন্য এটি আরো বেশি সুবিধাজনক মাধ্যমিক হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট করে থাকেন, তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি আপনার অ্যাপস থেকেই আপনার টাকা পয়সার লেনদেন এবং একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। এটি অন্যতম একটি মাধ্যম। কারণ এটি ব্যাংকে না গিয়ে আপনাকে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের ধাপসমূহ:
- ইসলামী ব্যাংকের মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।
- অ্যাপটি ওপেন করে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- লগইন করার পর আপনি সহজেই আপনার একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স এবং লেনদেনের বিস্তারিত দেখতে পাবেন।
এসএমএস ব্যাংকিং:
এসএমএস ব্যাংকিং একটি সহজ এবং দ্রুত পদ্ধতি। যা দ্বারা আপনি আপনার একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। তবে এসএমএস এর মাধ্যমে যদি আপনি আপনার ব্যালেন্স চেক করে থাকেন, এক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে।
অর্থাৎ ব্যাংক যখন আপনাকে কোন এসএমএসের মাধ্যমে তথ্য জানাবে, তখন প্রতিমাসে এসএমএস ফ্রি কাটবে। এটি একটি অতিরিক্ত আপনার জন্য খরচ। এজন্য আপনার একাউন্ট থেকে যেন অতিরিক্ত টাকা কাটতে না হয়, সেজন্য আপনি এসএমএসটির এই অপশনটি ব্যবহার না করে, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এটি আপনার জন্য সঞ্চয় হবে।
এসএমএস ব্যাংকিং ব্যবহারের ধাপসমূহ:
- আপনার মোবাইল নম্বরটি ব্যাংকে রেজিস্টার করতে হবে।
- রেজিস্ট্রেশন করার পর, নির্দিষ্ট ফরম্যাটে এসএমএস পাঠাতে হবে।
- উদাহরণস্বরূপ, “BAL <Account Number>” লিখে ১৬২৪০ নম্বরে পাঠাতে হবে।
- কিছুক্ষণ পরেই আপনি আপনার একাউন্টের ব্যালেন্সের তথ্য পাবেন।
এটিএম মেশিন থেকে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম:
এটিএম মেশিন ব্যবহার করে আপনি আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম অনেকগুলো আলোচনা করা হয়েছে। যদিও এটিএম মেশিন ব্যবহার করে চেক করার বিষয়টি ভিন্ন।
কারণ এক্ষেত্রে আপনাকে এটিএম মেশিন দিয়ে যদি আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে চান, তাহলে সরাসরি আপনার কোন লোকেশনে এটিএম বুথ রয়েছে, সে এটিএম এর কাছে যেতে হবে। এটিএম বুথে গিয়ে আপনাকে আপনার কার্ড দিয়ে সে ব্যালেন্স চেক করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই একটি ভিসা কার্ড অথবা মাস্টার কার্ডের প্রয়োজন হবে। সে কার্ড দিয়ে আপনি আপনার তথ্যগুলো যাচাই করতে পারবেন।
আপনি যখন ইসলামী ব্যাংকে কোন একাউন্ট করবেন, তখন আপনাকে লেনদেনের জন্য একটি কার্ড দিয়ে দিবে। সেই কার্ডটির মাধ্যমে আপনি এটিএম বুথ থেকে আপনার ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন। অবশ্যই এটি আপনার জন্য সময় এবং ব্যয়বহুল হবে।
কারণ আপনার এই ক্ষেত্রে যদি এটিএম বুথ যদি দূরে থাকে, তাহলে গাড়ি ভাড়া দিয়ে সে এটিএম বুথের কাছে যেতে হবে। এবং আপনার সময় অপচয় করতে হবে। তার চেয়ে আপনি যদি অনলাইন ব্যাংকিং অথবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যাচাই করেন, তাহলে সেটি সুবিধা জনক হবে।
এটিএম মেশিন ব্যবহারের ধাপসমূহ:
- প্রথমে নিকটস্থ এটিএম বুথে যান।
- আপনার ডেবিট কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করান, এবং পিন নম্বর প্রদান করুন।
- মেন্যু থেকে “ব্যালেন্স ইনকোয়ারি” অপশনটি সিলেক্ট করুন।
- মেশিন আপনার একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স প্রদর্শন করবে।
ব্যাংকের শাখা থেকে ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম:
আপনি সরাসরি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারেন। এটি হচ্ছে একটি আদিম যুগের নিয়ম। অর্থাৎ আপনি আদিম যুগে যখন কোন ডিজিটাল সিস্টেম ছিল না, তখন কিন্তু অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং অথবা এটিএম বুথ ব্যবহার করে আপনার কোন তথ্য যাচাই করতে পারতেন না।
বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋণ দেয় কোন ব্যাংক! বিস্তারিত পড়ুন
এক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি ব্যাংকের অফিসে যেতে হতো। অফিসে গিয়ে আপনাকে ব্যাংকের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে হতো।
বর্তমান সময়ে আপনি এই এনালগ পদ্ধতি ব্যবহার না করে ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই আনলক পদ্ধতিতে আপনাকে সময় এবং শ্রম খরচ করে ব্যাংকে যেতে হবে। ব্যাংকের যেকোনো একটি নিকটস্থ ব্রাঞ্চে গিয়ে আপনার তথ্য দিয়ে সে একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে হবে। তাহলে এটি অনেক বেশি সময় সাপেক্ষ হবে এবং এটি ব্যবহার একটি পদ্ধতি।
ব্যাংকের শাখায় গিয়ে একাউন্ট চেক করার ধাপসমূহ:
- নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকের শাখায় যান।
- কাস্টমার সার্ভিস ডেস্কে গিয়ে আপনার একাউন্টের তথ্য প্রদান করুন।
- কর্তৃপক্ষ আপনার একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স জানিয়ে দেবে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সতর্কতা
একাউন্ট চেক করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং সতর্কতা মেনে চলা উচিত। আপনি চাইলে আপনার একাউন্টের তথ্য দিয়ে আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স যাচাই করতে পারেন। এটি এটি আপনার জন্য সাধারণ একটি বিষয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কারণ আপনি যদি সতর্ক না থাকেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি অন্যজনের কন্ট্রোলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আপনাকে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে। যেই নিয়ম কানুন গুলো মেনে চলার মাধ্যমে নিজের একাউন্ট সুরক্ষিত করতে পারবেন। যেমন:
ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ:
আপনার একাউন্টের ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড এবং পিন নম্বর খুবই গোপনীয় তথ্য। এগুলো কখনোই অন্য কাউকে শেয়ার করবেন না। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে এবিষয়ে অনেক বেশি ভালো বোঝেনা। যদি না বুঝেই আপনি আপনার কোন তথ্য অন্যজনের হাতে দিয়ে দেন, তাহলে আপনার একাউন্টে নিয়ন্ত্রণ সে নিয়ে নিতে পারবে।
এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পাসওয়ার্ডটি যেহেতু সব জায়গায় ব্যবহার করতে হবে। এজন্য এটি সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনাকে এটি গোপন রাখতে হবে। আর সেই সাথে পাসওয়ার্ড ও অন্যান্য ইউসার আইডিগুলো গোপন রাখতে হবে। আপনার ইউজার আইডি ছাড়া অন্য কেউ বুঝতে না পারে, বা জানতে না পারে। যেন এই তথ্যগুলো অন্যজনের হাতে না যায়, সে বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
আপনার মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যাংকিং করার সময় নিশ্চিত করুন যে আপনার ডিভাইসটি সুরক্ষিত এবং আপডেটেড। বর্তমানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস গুলোর নিয়ন্ত্রণ অন্য কেউ নিয়ে নিতে পারে। এই ফিচারগুলো বর্তমানে রয়েছে।
তাই আপনি যদি আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করেন, অথবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, এক্ষেত্রে কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনে কি ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহার করতেছেন, সেটি নিশ্চিত করবেন। যেন সুরক্ষিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সেই সাথে অবশ্যই আপনার ডিভাইসটি যেন আপনার নিজের হয় সেটি নিশ্চিত করবেন। অন্য কারো ডিভাইসে গিয়ে আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট লগইন করবেন না।
জনতা ব্যাংক পার্সোনাল লোন পদ্ধতি ও টিপস ২০২৪
এগুলো আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকর পদ্ধতি। এজন্য আপনার একাউন্ট কে সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই এ নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। অনেকেই এ নিয়মগুলোকে অবহেলা করে থাকেন। যারা অবহেলা করেন, তারা পরবর্তী এবিষয়গুলো বুঝতে পারেন, যখন সমস্যায় পড়ে যান।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক বিষয়ে সারমর্ম:
আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট চেক করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং সেই সাথে আপনি যদি একজন ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে কিভাবে আপনার অ্যাকাউন্টটাকে সুরক্ষিত রাখবেন, এবং কি কি মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি আপনার একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন, সেই সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
আশা করতেছি আপনাদের এই লেখাটি আপনি পছন্দ করবেন। আমাদের এই গাইডলাইনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, অবশ্যই আপনাদের কমেন্ট করে মতামত জানাবেন। এবং অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেকিং বিষয়ে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে, সে বিষয়টি আমাদেরকে জানাবেন। কোন মাধ্যমেটি আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে, সেটি আমাদের শেয়ার করতে ভুলবেন না।