যদি একটু অনলাইনে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখেন, তাহলে দেখবেন। অনলাইন থেকে ঘরে বসে ইনকাম করার যে একাধিক উপায় শেয়ার করা হয়েছে, তার মধ্যে অধিকাংশ উপায় একটি অপরটির সাথে মিল রয়েছে। এখানেও আমরা এমন কিছু বাছাই করা ৫টি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যে ৫টি উপায় দিয়ে আপনারা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে যে উপায়গুলো আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব, এই উপায় গুলো শতভাগ বিশ্বস্ত। এমনকি আপনি যদি যেকোনো একটি উপায় নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ভবিষ্যতে আপনি এটাতে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
আমরা যখন কোন দক্ষতা অর্জন করব বা কোন কিছু শেখা শুরু করব, তাহলে সেই শিক্ষাটা এমন হতে হবে, যেন আমরা পরবর্তীতে সেটার উপরেই ক্যারিয়ার গড়তে পারি। যদি এটা সমসাময়িক হয়, তাহলে সেটি তেমন একটা লাভজনক হবে না। এইজন্য আমরা যখন অনলাইনে কাজ করার উপায়গুলো খুঁজবো, তখন এমন একটি উপায় নিয়ে আমরা কাজ করার চেষ্টা করব, যেন আমরা সেটাতে ক্যারিয়ার গড়তে পারি এবং ভালো টাকা ইনকাম করতে পারি।
এইজন্য সে কথাগুলো বিবেচনা করেই আপনাদের জন্য এখানে ৫টি বাছাই করা উপায় শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেখান থেকে আপনি অনলাইনে ঘরে বসে নিশ্চিত ইনকাম করতে পারবেন। শতভাগ গ্যারান্টি থাকবে। 🥰
১. “ফ্রিল্যান্সিং: ঘরে বসে ইনকাম করার একটি সেরা উপায়”
এটা নিশ্চিত আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি বিষয় যেখানে একাধিক সেক্টর রয়েছে। আপনি কি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন সেটা আপনাকে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়া উচিত।
এখানে আমরা আপনাদের জন্য কিছু তথ্য শেয়ার করব। যেগুলোর উপর নির্ভর করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং কাজে কি নিয়ে কাজ করবেন, অথবা আপনার বর্তমানে কি করা উচিত সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
ফ্রিল্যান্সিং কি এবং কেন এটি জনপ্রিয়?
যদি আপনি ঘরে বসে অন্য কোন বিশ্বের যে কোন মালিকের হয়ে কাজ করেন, অথবা কোন ব্যক্তির কাজ সম্পন্ন করে দেন, তার বিনিময়ে যদি আপনি পারিশ্রমিক নেন, তাহলে সেটাকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি স্বাধীন পেশা। যদিও এটিকে স্বাধীন বলা হয় কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অন্যের কাজ করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি অন্যের অধীনে থাকবেন। সুতরাং বলা যায় এটি একটি সমসাময়িক স্বাধীন পেশা।
মূলত যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে আপনাকে কোন একজন মালিকের আন্ডারে একই কাজ বারবার করতে হয় না। সেজন্য আপনি এই পেশাটাকে স্বাধীন বলতেছেন। কিন্তু এটাতে মূলত কারো না কারো পক্ষে হয়ে কাজ করতে হয়। এজন্য এটিকে আমি সমসাময়িক স্বাধীন ব্যবসা বললাম।
যেহেতু এটা সমসাময়িক কাজের জন্য জনপ্রিয়, সেজন্য এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ মানুষের কাছে ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনকি ফ্রিল্যান্সিং করতে সবাই স্বাচ্ছন্দ বোধ করার কারণে এটি সহজ একটি মাধ্যম। একাধিক উপায়ে যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং করা যায়, এজন্য ফ্রিল্যান্সিং সবার কাছে জনপ্রিয়।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা
প্রতিটা জিনিসের ভালো খারাপ রয়েছে। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়েরও ভালো খারাপ দিক রয়েছে। এটা আমি একটু আগে যে আলোচনা করলাম, সেই আলোচনার মধ্যে আপনি বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেন, তাহলে আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে অন্য কোন মালিকের হয়ে কাজ করতে হবে না।
এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বাধীনতা অনুযায়ী বিভিন্ন মালিকের বা বিভিন্ন ব্যক্তির হয়ে কাজ করতে পারবেন। এটি হচ্ছে আপনার স্বাধীনতা। আরেকটি স্বাধীনতা হচ্ছে, এখানে আপনি যেকোন কাজ আপনার সুযোগ সুবিধা অনুযায়ী সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন। তবে যদি আপনাকে কোন কাজটি শেষ করার জন্য নির্দিষ্ট ডেট লাইন দিয়ে দেওয়া হয়, সে সময়ের মধ্যে আপনাকে কাজ শেষ করতে হবে।
এটি হচ্ছে একটি অসুবিধা। যার কারণে আপনাকে প্রেসার নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। আরেকটি ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই নিজের প্রেসার নিয়ে কাজ করার সক্ষমতা রাখতে হবে। কারণ অনেক সময় দেখা যাবে আপনি এমন কোন বায়ারের কাজ করতেছেন, যেখানে অনেক তাড়াহুড়া করার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজের যোগ্যতা ব্যবহার করে খুব ভালো দক্ষতার সাথে কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হবে।
সবচেয়ে মজার সুবিধা হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ যারা করেন, তারা তাদের নিজের ইচ্ছামত উপার্জন করতে পারেন।
কোন কোন ক্ষেত্র ফ্রিল্যান্সিংয়ে জনপ্রিয়:
লেখালেখি, ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ সকল ক্ষেত্রগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেশি জনপ্রিয়। আপনি যদি এরকম একটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন, তাহলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। এজন্য আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, তখন নিজের আগ্রহ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন।
বর্তমান সময়ে একজন যদি ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে চান, তাহলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হবে। কারণ বর্তমানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। মার্কেটের প্রতিযোগিতার কারণে অনেক বেশি পরিশ্রম করে এবং মেধা দিয়ে আপনাকে কাজে লাগাতে হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা।
আমার পছন্দের একটি ফ্রিল্যান্সিংস ক্ষেত্রে হচ্ছে লেখালেখি। যত বেশি লেখালেখি করবেন, তত বেশি আপনি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এবং নিজের লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এমন কি আপনার লেখাগুলোকে মনিটাইজ করে এখান থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারবেন।
কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন:
অনেকেই বুঝতে পারেন না কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে? ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সিম্পল দুইটি বিষয়ে আপনার প্রয়োজন। একটি হচ্ছে আপনার একটি ভাল কম্পিউটার দ্বিতীয় হচ্ছে আপনার জন্য ভালো ইন্টারনেট কানেকশন। এই দুটি বিষয় যদি থাকে, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষতা জরুরী। আপনার যদি কোন বিষয়ে দক্ষতা না থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজে করতে পারবেন না। যত ভালো কম্পিউটার বা ইন্টারনেট কানেকশন থাকুক না কেন।
অনেক ক্ষেত্রে আপনি শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। যেমন আমি লেখালেখির জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করি। এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মোবাইল ফোন দিয়ে লিখা লিখে করে কন্টেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। এইজন্যই আমি বারবার বলতেছি আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, তখন কোন প্লাটফর্ম নিয়ে কাজ করবেন সেটা আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে যদি প্লাটফর্ম নির্বাচন করেন, তাহলে আপনি সুযোগ অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।
২. “ইকমার্স বিজনেস: ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার উপায়”
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য ই-কমার্স বিজনেস হচ্ছে আরেকটি দারুন উপায়। এই উপায়ে আপনি খুব ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। তবে যদি আপনি এই ই-কমার্স বিজনেসে সফল হতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে। যেন আপনি এই প্লাটফর্মটাকে গড়ে তুলতে পারেন।
বর্তমানে অনলাইনে ই-কমার্স বিজনেস হচ্ছে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা করেন না কেন, সঠিকভাবে যদি মার্কেটিং করতে পারেন, তাহলে বিক্রয় করা খুবই সহজ। তাই আপনি যদি আপনার ব্যবসাটি অনলাইনে গড়ে তুলতে চান, তাহলে আপনাকে আজকেই উদ্যোগ নিতে হবে একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য।
ইকমার্স কী এবং এর বাজার বিশ্লেষণ
আপনারা অবশ্যই জানেন অনলাইনে যে ব্যবসাটি করা হয়, তাকেই ই-কমার্স বিজনেস বলে। কারণ এখানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করা হয়। যার কারণে এটির নাম হচ্ছে ই কমার্স বিসনেস। ই-কমার্সের বাজার বিশ্লেষণ নিয়ে কোন রকম চিন্তা করতে হবে না। বাংলাদেশের বাজারে ই-কমার্সের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
সেসাথে আপনি যদি ওয়ার্ল্ডওয়াইড ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনাকে ভিন্নভাবে পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তবে বাংলাদেশের মধ্যে আপনি যদি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন, প্রচুর পরিমাণে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। লাভবান হতে আশা করতেছি আপনি এটা নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
ইকমার্স বিজনেস শুরু করার ধাপগুলি
একটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করার জন্য কয়েকটি ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত আপনাকে আপনার প্রোডাক্ট কি কি হবে, সেগুলো নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলো কোথা থেকে কালেকশন করবেন, সেটি নির্বাচন করতে হবে। এরপরে আপনাকে আপনার ব্যবসাটি অনলাইনে পরিচালনা করার জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
এরপরে আপনাকে মার্কেটিং শুরু করতে হবে। মার্কেটিং শুরু করার মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসের মূল পর্যায়ে চলে যাবেন। মার্কেটিং যত ভালো করতে পারবেন, তত ভালো আপনার ব্যবসায় উন্নতি হতে থাকবে। আপনার ব্যবসার উন্নতির জন্য মার্কেটিং হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম, যেটা সব জায়গায় কাজ করে।
পণ্য নির্বাচন ও সরবরাহের কৌশল
আমরা একটু আগে আলোচনা করেছি এরপরেও এখন প্রোপারলি সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ই-কমার্সের জন্য আপনাকে অবশ্যই পণ্য নির্বাচন এবং পণ্যগুলো কিভাবে সরবরাহ করবেন, সে বিষয়ে অত্যন্ত মনযোগ দিতে হবে। কারণ এই ব্যবসার জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তাই আপনার চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলোকে আপনি একেবারে উপেক্ষা করতে পারবেন না।
এজন্য আপনার যদি একটা ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করতে চান, তাহলে কোথা থেকে পণ্য নির্বাচন করবেন, এবং নির্বাচন করার পরে কিভাবে সরবরাহ করবেন? সে বিষয়টা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে।
মার্কেটিং এবং প্রমোশন কৌশল
আপনি যদি ভালো মার্কেটিং করতে জানেন, তাহলে আপনি অবশ্যই ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন ও সেই সাথে আপনি রাজত্ব করতে পারবেন। মার্কেটিং হচ্ছে একমাত্র মাধ্যম যেকোনো ব্যবসাকে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য। আপনার ব্যবসা যত বেশি কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাবে, তত বেশি আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে আপনি এখান থেকে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
মার্কেটিংয়ে ভালো করার জন্য বিভিন্ন প্রমোশনাল কৌশল আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি একা একা সেটা করতে না পারেন, তাহলে একজন মার্কেটিং এক্সপার্টকে আপনার ব্যবসায় নিয়োগ দিতে পারেন। যিনি আপনার মার্কেটিং এর জন্য ভালো ভালো প্লেন এবং কৌশল তৈরি করবে, সেগুলো প্রয়োগ করবে।। ফলে এখান থেকে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
৩. “ড্রপশিপিং: বিনা বিনিয়োগে ঘরে বসে ইনকামের উপায়”
বাংলাদেশের মধ্যে বসে আপনি যদি ড্রপ শিপিং ব্যবসা করেন, তাহলে সেটা লাভবান নাও হতে হতে পারে। কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে ড্রপ শিপিং এর চাহিদা খুবই কম। কিন্তু আপনি যদি আন্তর্জাতিকভাবে ড্রপ শিপিং করতে পারেন, বিভিন্ন কারেন্সির সুবিধা দিতে পারেন, তাহলে খুব ভালো পরিমাণে আপনি ড্রপ শিপিং করে আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। কারণ ড্রপ শিপিং হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল একটি ব্যবসা আমি মনে করি। কারণ বাংলাদেশের মধ্যে এখনো ড্রপ শিপিং এর সুবিধা তৈরী হয় নাই।
ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা যেখানে একাধিক সাপ্লাইয়ার আপনাকে প্রোডাক্ট শরবরাহ করবে। আপনি একজন বিক্রেতা হিসেবে তার প্রোডাক্ট গুলোর মার্কেটিং করবেন এবং আপনার একটা স্টোর বা যে কোন একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রি করবেন। বিক্রি করে সে তথ্যগুলো আপনি সাপ্লায়ার কে দিয়ে দিবেন। সাপ্লাইয়ের সেই প্রোডাক্ট গুলো ডেলিভারি করবে, এবং তিনি প্রোডাক্টের টাকা সংগ্রহ করে, সে টাকার মুনাফা আপনার সাথে ভাগ করবেন।
ড্রপশিপিং কি এবং এটি কীভাবে কাজ করে
ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটি অনলাইন ব্যবসা যেখানে আপনার কোন রকমের রিস্ক থাকেনা। অর্থাৎ আপনাকে কোন ধরনের প্রোডাক্ট মজুদ করে রাখতে হবে না। প্রোডাক্টগুলোর সম্পূর্ণ অন্যদের হাতে থাকবে। আপনি সে প্রোডাক্টগুলোর ইমেজ সংগ্রহ করে সেগুলো মার্কেটিং করবেন।
এটি মূলত কাজ করে একটি বৃত্তের মাধ্যমে। এটা বৃত্তের একটি ব্যবসা। অর্থাৎ অন্যজনের হাতে প্রোডাক্ট গুলো থাকবে। আপনি তার কাছ থেকে নিয়ে সেল দিবেন। তিনি শুধুমাত্র আপনাকে প্রোডাক্টের তথ্য দিবেন। সাপ্লায়ার যখন আপনাকে প্রোডাক্টের তথ্যগুলো দিবে, সে তথ্যগুলো আপনার ওয়েবসাইটে আপনি সংরক্ষণ করবেন। সেখান থেকে যখন বিক্রি হবে, তখন সেই তথ্যগুলো আপনি আবার পুনরায় আপনার সাপ্লাইয়ার কে দিয়ে দিবেন। আপনার সাপ্লাইয়ার ঠিক একই কাজ করে আপনার কাস্টমারকে প্রোডাক্ট গুলো ডেলিভারি করবে। ডেলিভারি করে তিনি সবকিছু সংগ্রহ করে আপনার সাথে মুনাফা ভাগ করবে।
ড্রপশিপিংয়ের সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ
আপনারা হয়তো এটা অনেকেই জানেন ড্রপ শিপিং নিয়ে একাধিক সুবিধা থাকলেও এটার কিছু অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু এই অসুবিধাগুলো খুবই সিম্পল। এগুলো সমাধান করা যায়। তাই আপনি ড্রপ শিপিং ব্যবসার সুবিধাগুলো উপভোগ করে আপনার ব্যবসাটি দাঁড় করাতে পারেন। এবং এ ব্যবসার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে কারেন্সির সুবিধা দিতে হবে।
কারণ আপনি যদি বিভিন্ন কারেন্সিতে গ্রাহককে পেমেন্ট করার সুবিধা দিতে পারেন, তাহলে আপনি একাধিক কাস্টমার পেয়ে যাবেন। এখান থেকে আপনি যেমন বাংলাদেশের মধ্যেও ড্রপ শিপিং করতে পারবেন। যদি বাংলা টাকা পেমেন্ট করার সুবিধা আপনি সরবরাহ করেন।
ড্রপশিপিং শুরু করার জন্য প্ল্যাটফর্ম ও টুলস
ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করার জন্য আমি মনে করি ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে ভালো একটি মাধ্যম। তবে চাইলে আপনি Shopify ব্যবহার করতে পারেন। Shopify ও এমন একটি মাধ্যম যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তবে আপনার যদি বিনিয়োগের সক্ষমতা কম থাকে, তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসের মধ্যে আপনি ওয়ান টাইম পেমেন্ট করার মাধ্যমেই শুধুমাত্র আপনার জন্য একটি ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ড্রপ শিপিং করার জন্য আরো ভালো প্ল্যাটফর্ম করবেন ভাবেন, তাহলে Shopify আপনার জন্য সেরা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে মান্থলি সাবক্রিপশন নিয়ে ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হবে।
৪. “ব্লগিং: কিভাবে আপনার ব্লগ থেকে ঘরে বসে ইনকাম করবেন”
সম্মানিত পাঠক আপনি যে আমার এই ওয়েবসাইটে এসে আমার এই লেখাটি পড়তেছেন, আপনি একজন পাঠক হিসেবে আমার ওয়েবসাইটে এসেছেন। এক্ষেত্রে আমি কিন্তু এখান থেকে উপকৃত হচ্ছি, পাশাপাশি আপনিও উপকৃত হচ্ছেন। ফলে এটিকে ব্লগিং হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। আপনি যখন আমার ব্লগে এসে পড়েন, তখন আপনি আমার ব্লগের পাঠক আর আমি হলাম একজন ব্লগার।
আমার এই ব্লগ ওয়েবসাইটটি কিন্তু এমনি এমনি পরিচালিত হচ্ছে না। কারণ এই ওয়েবসাইটে যখন আমাদের আপনার মত পাঠক গুলো আসে, তখন এখানে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আমরা ভালো ইনকাম করতে পারি। পাশাপাশি এখান থেকে আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারি। এজন্য একজন ব্লগার হিসেবে আপনি বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
ব্লগিং কি এবং এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ
বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আপনি যেই লেখাগুলো অনলাইনে পড়তে পারেন বা যে সকল বিষয়ে তথ্য পেয়ে থাকেন, সেটাকে ব্লগিং বলা হয়। ব্লগিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পাঠকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করার জন্য, আপনাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোর জন্য ব্লগিং গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
ব্লগের মাধ্যমে যে তথ্যগুলো শেয়ার করা যায় সে তথ্যগুলো অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে শেয়ার করা যায় না। এর জন্য ব্লগিং হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এখান থেকে উপার্জন করা সহজ।
ব্লগিং শুরু করার ধাপগুলি
একটি ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করার জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে যে ধারণাগুলো নিতে হবে, সে ধারণা গুলো অবশ্যই খুব সহজ। সিম্পল একটি ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার নিশ বা বিষয় নির্বাচন করতে হবে। কোন বিষয়ের উপরে আপনি ব্লগিং করবেন, সেটা নির্ধারণ করার জন্য আপনার যে বিষয়ে ভালো জ্ঞান রয়েছে, সে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে।
এরপরে যদি আপনার বিষয়টি নির্ধারিত হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। ডোমেন এবং হোস্টিং ক্রয় করার পরে আপনি সেই ডোমেন এবং হোস্টিং দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করার পরে সেখানে আপনার লেখাগুলো নিয়মিত প্রকাশ করতে শুরু করবেন। যত ভালো ভালো কনটেন্ট আপনি প্রকাশ করতে পারবেন, তত ভালই এখান থেকে উপকৃত হতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার পাঠকরা আপনার এই লেখা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য লিখতে হবে।
ব্লগ থেকে আয় করার উপায়
ইনকাম নিয়ে তো সবাই চিন্তা করেন। এই জন্য ইনকাম কিভাবে করতে হয়? এবিষয়টি সবাইকে জানতে হবে। আপনি যদি ঘরে বসে ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনার জন্য এটি সেরা একটি মাধ্যম। অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য ব্লগিং থেকে বিভিন্ন উপায়ে রয়েছে। যেমন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি আপনি গুগলে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে ঘরে বসেই বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য ব্লগিংয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায় হচ্ছে সার্ভিস বিক্রি করা। পাশাপাশি আপনি চাইলে বিভিন্ন পিডিএফ এবং অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এমনকি লিড জেনারেট করার মাধ্যমেও এখান থেকে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
ব্লগ ট্রাফিক বাড়ানোর কৌশল
আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য একমাত্র সিম্পল সমাধান হচ্ছে আপনাকে ভালো কনটেন্ট লিখতে হবে। যত ভালো কনটেন্ট আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন, তত বেশি আপনি ব্লগের পাঠক পাবেন। অর্থাৎ ট্রাফিক গুলো যত বেশি আসতে থাকবে, তত বেশি আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভালো ইনকাম হবে। ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য যেটা অন্যতম একটি মাধ্যম সেটা হচ্ছে ব্লগিং।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে যদি ট্রাফিক আনতে চান, তাহলে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জানতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন অটমাইজেশন এমন একটি মাধ্যম যেটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের সাথে আপনার লেখাগুলো কি রকম হবে? আপনার ওয়েবসাইটটি কিভাবে কাজ করবে? সে বিষয়টি নির্ধারিত করা। যদি আপনি তাদের পলিসি মেনে কাজ করেন, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলো ভালো করবে। এবং এখান থেকে ভালো পরিমানে পাঠক পেয়ে যাবেন। ফলে আপনি বেশি পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
৫. “ইউটিউবিং: ঘরে বসে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে ইনকাম করার উপায়”
একটা সময় ছিল যখন ভিডিও কনটেন্ট গুলোর মূল্য অনেক বেশি ছিল এবং ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করাটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য ছিল, কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে আপনি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। আর ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ঘরে বসে youtube থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আপনাকে আজকেই যে কোন একটি টপিকের উপরে উদ্যোগ নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা শুরু করতে হবে। কিভাবে এই কাজগুলো করবেন, কেন করবেন, সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
ইউটিউবিং কি এবং এর গুরুত্ব
মূলত আপনার হাতে থাকা যে স্মার্টফোনটি রয়েছে, সেটির মাধ্যমে আপনি ভিডিও তৈরি করে সেগুলো ইউটিউবে আপলোড করে, যারা আপনার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে, তাদেরকে তথ্য সরবরাহ করাটাই হচ্ছে ইউটিউবার। ইউটিউবের গুরুত্বপূর্ণ অনেক বেশি কারণ রয়েছে। ইউটিউব এর মাধ্যমে যে তথ্যগুলো সরবরাহ করতে পারবেন, সেগুলো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি সরবরাহ করতে পারবেন না।
যেহেতু ভিডিওর মাধ্যমে যেকোন টপিক বা যেকোনো বিষয়টাকে সহজে উপস্থাপন করা যায়। এজন্য বর্তমান সময়ে ভিডিও কন্টেন্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য আপনি একজন ইউটিউবার হিসেবে আপনার ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার ধাপগুলি
একটি ইউটিউব ছাড়া শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার নিশ বা বিষয় নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপরে ভিডিও তৈরি করবেন, সে বিষয়ের উপর আপনাকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। এরপরে আপনাকে একটি ছোটখাটো একটা স্টুডিও সেটআপ দিতে হবে। এরপরে আপনাকে আপনার ফ্রি ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি করতে হবে। আপনার যদি একটি গুগল একাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজেই সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল শুধুমাত্র তৈরি করলে হবে না। ইউটিউব চ্যানেলটি সঠিকভাবে কাস্টমাইজ করে এসইও ফ্রেন্ডলি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি সঠিকভাবে আপনার চ্যানেলটাকে ডেকোরেট করতে না পারেন, তাহলে ভিউয়াররা ইউজার ফ্রেন্ডলি একটি চ্যানেল খুঁজে পাবে না। এজন্য আপনাকে আপনার চ্যানেলের মধ্যে কাস্টমাইজেশনে নজর দিতে হবে।
যখন আপনি সঠিকভাবে আপনার একটি চ্যানেল সেটআপ দিয়ে দিবেন, সবকিছু সঠিকভাবে হয়ে যাবে, তখন আপনাকে নিয়মিত ভালো ভালো কনটেন্ট আপলোড করতে হবে। যত ভালো ভালো কনটেন্ট আপনি আপলোড করবেন, ততই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে ভিউয়ার আসতে থাকবে। ফলে এখান থেকে আপনি ভাল ঘরে বসে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
ভালো একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করার জন্য একাধিক উপায় রয়েছে। যেমন আপনি গুগলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারেন। সে সাথে আপনি স্পন্সর বা স্পন্সর বিজ্ঞাপন দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারেন। আরো অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আমি নিজেও আমার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করে থাকি। তাই আপনি যদি affiliate marketing করতে পারেন, তাহলে ইউটিউব থেকে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।
ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:
আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত ঘরে বসে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখানে আমরা ৫টি সেরা উপায় আপনাদের জন্য শেয়ার করেছি। এই ৫টি উপায়ে আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। কারণ এগুলো হচ্ছে বিশ্বস্ত এবং আমরা আপনাদেরকে এমন কিছু আইডিয়া শেয়ার করেছি, যেগুলোতে আপনারা প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে পারেন। এমনকি এগুলোতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।
আপনারা ইউটিউব, ড্রপশিপিং, অথবা ফ্রিল্যান্সিং যে সেক্টরের কাজ করেন না কেন, আপনারা যখন কাজ করবেন, তখন সে বিষয়টাকে অবশ্যই ক্যারিয়ারের একটি অংশ হিসেবে নিতে হবে। কারণ এখানে ক্যারিয়ার গড়া খুবই সহজ এবং এখান থেকে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।