৫ টি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা আইডিয়া, সুবিধা ও অসুবিধা

আপনি যদি বর্তমানে চাকরি করে থাকেন, এবং চাকরির পাশাপাশি যদি একটি ব্যবসা করার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। যারা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে চাই, তাদের জন্য উপায় ও টিপস শেয়ার করব। যেগুলোর মাধ্যমে এখান থেকে আপনারা তথ্য বহুল আলোচনা পড়তে পারবেন।

এটি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে সুবিধা অসুবিধা এবং আরো বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলে আপনি আপনার চাকরির পাশাপাশি একটি সঠিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

Table of Contents

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা থাকার সুবিধা এবং অসুবিধা

অনেকে চাই যে চাকরি এবং ব্যবসা একসাথে করবে। যদি আপনি চাকরি এবং ব্যবসা একসাথে করেন, তাহলে আপনার জন্য কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে প্রথমে জেনে নিতে হবে।

এখানে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করলে কি রকম সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এবিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা বুঝতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার সুবিধা সমূহ:

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার সুবিধা
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার সুবিধা

প্রথমে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করলে কি রকম সুবিধা পাবেন? সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমরা কিছু মিক্সার আলোচনা করব, যেন আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়।

১. সহজে একটি ব্যবসা শুরু করা যায়:

চাকরির পাশাপাশি যদি আপনি একটা ব্যবসা শুরু করেন, আপনি এটি খুব সহজে শুরু করতে পারবেন। কারণ আপনি ইতিমধ্যে যে চাকরিটি করতেছেন, সেখান থেকে আপনি প্রতি মাসে একটি বেতন পাচ্ছেন। সেই বেতনের একটি অংশ যোগ করে আপনি সহজে নিজের একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অবশ্যই ব্যবসাটি সুর শুরু করার পরবর্তীতে আপনি চাকরির বেতন ব্যবহার করেই, এবং ব্যবসার প্রফিট থেকেই আপনার ব্যবসাটিকে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

২. উচ্চ উপার্জনের জন্য সম্ভাব্য

একজন ভালো মানের উদ্যোক্তাদের অবশ্যই স্বপ্ন থাকে বেশি পরিমাণে উপার্জন করার জন্য। আপনি যদি ব্যবসার পাশাপাশি চাকরিসহ একসাথে পরিচালনা করেন, তাহলে উপার্জন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আপনি ব্যবসার পাশাপাশি চাকরি এবং ব্যবসা দুটি একসাথে চালাতে পারেন। এখান থেকে আপনার জন্য সবচেয়ে মজার সুবিধা হচ্ছে, এখানে বেতনের পরিবর্তে ভালো পরিমাণে বেশি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।

৩. দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে

একসাথে যদি আপনি একাধিক কাজ করেন, আপনার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এবিষয়টি নিশ্চিত! তবে আপনি যদি ব্যবসা এবং চাকরি একসাথে পরিচালনা করেন, এক্ষেত্রে আপনার জন্য যথেষ্ট পরিমাণের অভিজ্ঞতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আপনি যথেষ্ট পরিমাণ নিজেকে যদি সময় দিতে পারেন, এবং দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন, তাহলে দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দুটি বৃদ্ধি পাবে। এবং এখান থেকে আপনি ভালো শিক্ষা অর্জন করতে পারবেন।

৪. কারো কোন অর্ডার মানতে হবে না:

চাকরি যখন করবেন, তখন অবশ্যই অন্যের অর্ডার মানতে হবে। এটি অবশ্যই মানতে হবে। কারণ আপনি যেহেতু চাকরি করতেছেন, তাই অর্ধেক সময় আপনাকে অন্য মালিকের আন্ডারেই সে বিষয়গুলোকে পালন করতে হবে।

আর যখন আপনি ব্যবসায়ী যুক্ত হবেন, তখন ব্যবসার ক্ষেত্রে কেউ আপনাকে অর্ডার করতে পারবেনা। আপনি যেভাবেই সিদ্ধান্ত নিবেন সেভাবেই সবকিছু পরিচালনা করতে পারবেন।

এজন্য আপনার যখন চাকরি এবং ব্যবসা একসাথে থাকবে, তখন এটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। কিছুক্ষণ অন্যজনের অর্ডার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এর পরবর্তী আবার নিজের ব্যবসায় ফিরে আসলে নিজের অভিজ্ঞতা এবং স্বাধীনতা অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:  বিশ্বের বাঁচাই করা সুযোগ খোঁজে নিন (world best opportunity) ➤ সময় এখন আপনার

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার অসুবিধা সমূহ:

খুব ছোট পরিসরে এবার চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো। যদি চাকরির সাথে ব্যবসা করেন, তাহলে কি রকম অসুবিধা হতে পারে… এবিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। অসুবিধা গুলো জানলে আপনি পরবর্তীতে এগুলো সমাধান করতে পারবেন।

১. ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা:

একাধিক কাজ একজন মানুষ একসাথে করতে পারে না। তাই আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা একসাথে পরিচালনা করেন, তাহলে ঝুঁকি এবং অনিশ্চয়তা বেশি থাকবে। কারণ এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি হবে। কারণ আপনাকে একাই একা একা সমাধান করতে হবে।

আপনার ব্যবসাটি সফল হবে কিনা, সে বিষয়টি এর উপর নির্ভর করবে। আপনার কাজের উপরে যেহেতু আপনি একজন এগুলো সব পরিচালনা করবেন। তাই অনিশ্চিত থাকবেন যে আপনি সঠিকভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবেন কিনা।

তাই এ ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, আপনি চাকরির পাশাপাশি একসাথে ব্যবসা না করে, প্রথমে যেকোনো একটি নিয়ে শুরু করতে পারেন।

২. অনির্দিষ্ট আয়

চাকরি করলে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি বেতন পেতে থাকবেন। সে বেতন দিয়ে আপনি নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন। কিন্তু যদি ব্যবসা করেন, তাহলে আপনি অবশ্যই ব্যবসা থেকে অতিরিক্ত টাকা অর্জন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার অনির্দিষ্ট আয় থাকবে। অর্থাৎ আপনি কত পরিমান ইনকাম করতে পারবেন? সেটি নির্দিষ্ট নয়। চাকরির থেকে বেশি ইনকাম করতে পারেন, অথবা চাকরি চেয়ে কম ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনি যদি অনির্দিষ্ট আয়ে নির্ভরশীল না হন, তাহলেই চাকরি করতে পারেন।

৩. সীমিত বৃদ্ধির সম্ভাবনা

আপনি যদি একই সাথে একাধিক কাজ করেন, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা একটু কমে যায়। অর্থাৎ দ্রুত বৃদ্ধি নাও হতে পারে। ধীরে ধীরে করে আপনার ইন্ডাস্ট্রির বৃদ্ধি করতে পারবেন।

যদি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন, বা একটি সেক্টরে কাজ করেন, তাহলে মনোযোগ দিয়ে উক্ত সেক্টরের কাজ করতে পারবেন। ফলে প্রতিষ্ঠান দ্রুত বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এজন্য আপনার চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা একসাথে না করে, যেকোন একটি করা উচিত!

৪. যথেষ্ট দক্ষতা দরকার

পর্যাপ্ত পরিমাণে দক্ষতা না থাকলে আপনি কোন কাজে কি করবেন? সেটি বুঝে উঠতে পারবেন না। দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা এই দুইটি মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। কোন কাজ যদি দক্ষতার সাথে করতে না পারেন, সে কাজটি করতে যেখানে একদিন সময় লাগবে, সেখানে আপনাকে কয়েকদিন সময় পার করতে হবে। তাই যে কাজে করে না কেন! চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করতে গেলেও আপনার যথেষ্ট পরিমাণ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে।

৫. আর্থিক দিক ম্যানেজমেন্ট

যেকোনো কাজের জন্য আর্থিক দিক ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্থিক ম্যানেজমেন্ট এর বিষয়টি যদি আপনি বুঝে উঠতে না পারেন, তাহলে যে কোন ব্যবসায় জটিলতা অনুভব করবেন। তাই চাকরি এবং ব্যবসা একই সাথে যদি পরিচালনা করেন, তাহলে আপনি বেশিরভাগই আর্থিক ম্যানেজমেন্ট সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

এজন্য আপনি যে কোন একটি প্ল্যাটফর্ম কে নির্বাচন করেই ব্যবসা বা চাকরি শুরু করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি আর্থিং ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করবেন, এবং বিষয়গুলো আপনি খুব সহজেই সমাধান করতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি শুরু করার ৫ টি ব্যবসা আইডিয়া:

5 Business Ideas
5 Business Ideas

১) এক্সক্লুসিভ শার্ট বিক্রি করার ব্যবসা:

বর্তমান সময়ের টি শার্ট এবং শার্ট পড়ার জন্য বাচ্চারা সব সময় আগ্রহী হয়ে থাকেন। এজন্য অনলাইনে এগুলোর ব্যবসা করেন। অনলাইনে দেখেই সবাই সরাসরি অর্ডার করতে পারেন। এজন্য আপনি এই ব্যবসা করতে পারেন।

অবশ্যই এক্সক্লুসিভ শার্টগুলো আপনাকে রাখতে হবে। কারণ এক্সক্লুসিভ ডিজাইন সবাই খুজে। যেগুলো সবার পছন্দ হয় আপনি যদি এরকম ডিজাইনগুলো সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার অনলাইনে শার্ট বিক্রির ব্যবসাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এবং এখান থেকে ভালো পরিমানে লাভবান হতে পারবেন।

মনে রাখবেন, এই ব্যবসাটি অবশ্যই আপনি আপনার চাকরির পাশাপাশি করতে পারবেন। শুধুমাত্র কিছুক্ষণ দুই এক ঘন্টা টাইম ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে মার্কেটিং এবং মেসেজ রিপ্লাই করলেই হবে।

২) তৈরি জুতা বিক্রি করার ব্যবসা:

তৈরি জুতা আপনি ক্রয় করে সেগুলো অনলাইনে আবার বিক্রি করতে পারেন। এগুলো বিক্রি করে আপনি প্রতি জোড়া জোতার জন্য আপনাকে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে লাভ করতে হবে। আপনি চাইলে উন্নত মানের জুতা বিক্রি করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:  এই ৬টি ব্যবসা কোনোদিন বন্ধ হবে না

যদি দামি জুতা বিক্রি করেন, এক্ষেত্রে আপনি প্রতি জোড়া জোতার জন্য ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত প্রফিট করতে পারবেন। এরকম জুতার একটি ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন, যেটি আপনার জন্য অবশ্যই লাভজনক হবে।

এই ব্যবসাটি আপনি ঘরে বসেই আপনার অন্যান্য চাকরির পাশাপাশি সব সময় ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন। শুধুমাত্র যখনই অর্ডার আসবে, তখন আপনি কুরিয়ার এর মাধ্যমে আপনার সেই জুতা গুলোকে ডেলিভারি করে দিবেন। এবং সেই কুরিয়ার আপনার হয়ে ডেলিভারি গুলো সম্পন্ন করে টাকা সংগ্রহ করে আপনার হাতে পৌঁছে দিবে।

আপনি চাইলে অনলাইনেও একটি ওয়েবসাইট করার মাধ্যমে সে ওয়েবসাইটেই টাকাগুলো সংগ্রহ করতে পারেন।

৩) আচার বিক্রি করার বিজনেস:

মেয়েরা সব সময় আচার পছন্দ করেন। এই জন্য আপনি ঘরে বসে আচারের ব্যবসা করতে পারেন। অথবা চাকরির পাশাপাশি আচারের ব্যবসা দারুন হবে।

আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি এরকম একটি লাভজনক ব্যবসা করতে চান, যেটিতে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। আপনার আচারের ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

আমার পরিচিত অনেকে আচারের ব্যবসা করেন, যারা খুবই লাভজনক একটি পেশা হিসেবে নিয়েছে। আপনি অনলাইনে এই বিষয়টি খুব সহজেই ট্রাই করতে পারেন। ছোট্ট একটি ওয়েবসাইট, অথবা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আচারের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। ছোট ছোট ইনকাম হলেও মাসে শেয়ে গিয়ে আপনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা অনায়াসে এই ব্যবসার লাভ করতে পারবেন।

৪) হলুদ ও মসলা বিক্রি করার বিজনেস:

মসলা হলুদ ইত্যাদি জিনিসগুলো কার না প্রয়োজন হয়! সব ফ্যামিলিতেই মসলার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি যদি মসলা বিক্রির এব্যবসাটি শুরু করতে পারেন, তাহলে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে এটি সব জায়গায় পরিচিত লাভ করবে।

আপনি আপনার এলাকাতে ব্যবসাটি করতে পারেন, অথবা অনলাইনে চাকরির পাশাপাশি আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। মাসালা সবারই প্রয়োজন হয়। আপনি এই জন্য মসলার ব্যবসাটি করুন। আশা করতেছি আপনি মাস শেষে এখান থেকে প্রতি মাসেই ১০ থেকে ১৫ হাজার বা তারও বেশি পরিমাণে আয় করতে পারবেন।

আমি নিজেই অনলাইনে মসলার ব্যবসাটি করেছি। বিভিন্ন রকমের মসলা মানুষের প্রয়োজন হয়ে থাকে। আপনি মশাগুলো ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন।

৫) শুটকি মাছের ব্যবসা:

শুটকি হচ্ছে একটি সুনামধন্য ব্যবসার আইডিয়া। আপনি শুটকি সবার কাছে পাবেন না। শুটকি এমন একটি ব্যবসা যেখানে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা যায়। আপনি যদি প্রতি কেজি শুটকি ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা কিনেন, তাহলে প্রতি কেজি শুটকি আবার এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন।

তাহলে বুঝতে পেরেছেন আপনি শুটকিতে কি পরিমাণ লাভ করতে পারেন। শুটকি অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবসা অনলাইনে ঘরে বসে আপনি এব্যবসাটি করতে পারবেন। আপনি চাকরির পাশাপাশি শুটকি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। যেখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম তৈরি করতে পারবেন।

বিভিন্ন রকমের শুটকি আইটেম রয়েছে। আপনি আইটেমগুলো পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আপনি ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজে প্রচার করতে থাকবেন। এখানে আপনারা শুটকির আইটেম বৃদ্ধি করতে থাকবেন। এবং আপনার লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি হতে থাকবে। আশা করতেছি এই ব্যবসা আইডি গুলো আপনি পছন্দ করবেন।

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আপনি যাই করেন না কেন আপনাকে যে কোন বিষয়ে অন্যের অভিজ্ঞতা একটু হলেও কাজে লাগাতে হবে। আপনি সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় সবকিছু সমাধান করতে পারবেন না। এজন্য এখানে এমন কিছু টিপস দেওয়া আছে যে টিপস গুলো অনুসরণ করে আপনি ঘরে বসেই, অথবা আপনার চাকরির পাশাপাশি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন

ব্যবসার জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগ

ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রাথমিক বিষয় হচ্ছে মূলদ সংগ্রহ করা। আপনার যদি মূলধন না থাকে, তাহলে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। এর জন্য আপনি যেহেতু চাকরির পাশাপাশি একটি ব্যবসার প্রয়োগ করবেন, তাই প্রথমে চাকরি করার মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ মূলধন সংগ্রহ করে নিবেন।

সেই মূলধনকে একসাথে কাজে লাগালেই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এমন একটি ব্যবসায় আপনি বিনিয়োগ করবেন, যেটাতে রিস্কের পরিমাণ কম থাকে। যেন আপনি আপনার পারিশ্রমের টাকা গুলাকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন।

বেতন বনাম লাভ

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য আপনার কর্মচারীকে অবশ্যই বেতন বোনাস দিতে হবে। যেহেতু আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মচারীকে নিয়োগ দিতে হবে। সেজন্য আপনাকে এই চিন্তাটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কিভাবে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কে বেতন বোনাস বা ভাতা সমূহ দিবেন?

আরও পড়ুন:  আধুনিক উদ্যোক্তার জন্য ৩০টি স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া | Business ideas of the modern entrepreneur

এর জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে, আপনি কিভাবে আর্থিং ম্যানেজমেন্ট পরিচালনা করতেছেন? সে বিষয়টি যেন ভালো হয়ে থাকে। কারণ আপনার আর্থিক ম্যানেজমেন্ট যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের বেতন বোনাস কত আসতেছে? এবং কত প্রফিট হচ্ছে? সেটাতে সবসময় মিলিয়ে নিবেন। যেন আপনার প্রফিটের তুলনায় বেতন বোনাস কম থাকে। অর্থাৎ আপনার যে পরিমাণ প্রফিট করবেন, তার চেয়ে বেশি যদি আপনাকে বেতন দিতে হয়, তাহলে আপনি লোকশানের সম্মুখীন হবেন। এর জন্য এবিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা জীবনের ভারসাম্য বুঝতে সাহায্য করে:

চাকরির পাশাপাশি যদি আপনি ব্যবসা করেন, তখন আপনি জীবনের ভারসাম্য কি তা বুঝতে পারবেন। অর্থাৎ যখন আপনি চাকরি করবেন, তখন একজন চাকর হিসেবে আপনাকে কি কি দায়িত্ব পালন করতে হবে? এবং আপনার সাথে অন্যরা কি রকম আচরণ করতেছে? এবং কি কি ভুলগুলো হলে মালিক থেকে আপনি ওয়ার্নিং পাচ্ছেন? সে বিষয়গুলো আপনার আয়ত্তে চলে আসবে।

ঠিক একই অভিজ্ঞতাগুলোকে নিজের ব্যবসায় আপনি কাজে লাগাতে পারবেন। অনেক কর্মচারী কিভাবে কাজ করতেছে? এবং তার দৈনন্দিন কাজের কেমন গুনাগুন রয়েছে? এবং কিভাবে কাজ করবেন? তাই আপনি চাকরির পাশাপাশি যে অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করবেন। সেগুলো আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকে উপকৃত হতে পারবেন।

ব্যবসার মালিকের দৃষ্টিকোণ

ঠিক একইভাবে আমরা উপরে যেভাবে আলোচনা করেছি। আপনি যখন একটি প্রতিষ্ঠান চালাবেন, তখন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। এবং একজন মালিক হিসেবে তাদের পাওনা সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। যেভাবে আপনি চাকরি করেন, সেভাবে তাদের কেউ চাকরি করার সুযোগ দিতে হবে।

অর্থাৎ সব বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনের ব্যবসায়িক এবং কর্মচারীর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবেন। এবিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে।

সমাজের উপর প্রভাব

আমি যেহেতু উভয়ের সাইটে কাজ করবেন। অর্থাৎ ব্যবসা এবং চাকরি করবেন। সেগুলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার সমাজের উপরে প্রভাব রাখতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার সমাজকে আপনি সাহায্য করতে পারবেন।

অর্থনৈতিকভাবে বা আশেপাশের যারা কর্মচারী লোকজন রয়েছে, তাদেরকে উৎসাহিত করতে পারবেন। ব্যবসা এবং কর্ম একসাথে করার জন্য এগুলো আপনাকে মোটিভেটেড করবে। এবং এই অনুপ্রেরণা থেকে আপনি তাদেরকে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজেও এখান থেকে উপকৃত হবেন।

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার মাধ্যমে কাজের সৃষ্টি:

যেহেতু আপনি নিজে একজন কর্মচারী তাই সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের একটি ব্যবসা শুরু করবেন। সে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনেকের কাজ করার সুযোগ হবে। আপনি এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেওয়ার মাধ্যমে অনেকের কাজের সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে সাহায্য করতে পারবেন।

এবং এখানে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সেই কর্মসংস্থানগুলো অবশ্যই আপনার পরিবার এবং আশেপাশের আদেশজনদেরকে কাজ দেওয়ার জন্য সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দিবে। যার মাধ্যমে আপনি সবার মধ্যেই একটি পরিচিতি লাভ করবেন।

অর্থনৈতিক অবদান

সবাই চাইলেই সমাজে এবং দেশের জন্য অর্থনৈতিক অবদান রাখতে পারে না। যেহেতু আপনি একজন কর্মী এবং সফল উদ্যোক্তা, তাই আপনি চাইলে আপনার ব্যবসা কর্মচারী হিসেবেই সব জায়গায় অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারবেন।

আপনার সমাজের জন্য আপনি অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারবেন। সেই সাথে দেশের জন্য অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারবেন।
দেশের জন্য অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সব নাগরিকদের জন্য এটাই হচ্ছে একটি দায়িত্ব। তাই আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করার জন্য এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে পারেন। আশা করতেছি আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবেন।

চাকরির পাশাপাশি বা ব্যবসা করার জন্য বাজারের অবস্থা বুঝা

যেকোনো কিছু হুট করে শুরু করে দিলেই এখান থেকে লাভবান হতে পারবেন না। তাই আপনি যদি চাকরির পাশাপাশি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন। সে প্রোডাক্ট সম্পর্কিত বাজারের অবস্থা বুঝতে হবে। অর্থাৎ বাজার রিসার্চ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাজার সম্পর্কে যদি আপনি অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি এখানে ভালো একটি পজিশন দখল করতে পারবেন। তাই আপনার ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে বাজারের চাহিদা কিরকম এই বিষয়ে ভাষার গবেষণা করুন।

নেটওয়ার্কিং

ব্যবসা করার জন্য নেটওয়ার্কিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার যদি পরিচিতি ভালো থাকে, তাহলে আপনার এরিয়াতে আপনি সহজে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। এজন্য আপনি প্রথম থেকেই আপনার এরিয়াতে নেটওয়ার্কিং করুন। এবং ব্যবসার প্রয়োজ প্রচার করুন। যার মাধ্যমে আপনি ক্রেতাদের সাথে পরিচিত হতে পারবেন ।

আপনাকে ক্রেতারা যত বেশি চিনবে, তত বেশি আপনার কাছে আসবে। এর মাধ্যমে আপনি চাকরির পাশাপাশি অপশনাল একটি সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন। এজন্য আপনাকে সব সময় কমিউনিটি বিল্ডিং করতে, এবং পরিচিতি বাড়াতে নেটওয়ার্কিং এর জন্য কাজ করতে হবে।

চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার সম্পর্কে সারমর্ম আলোচনা

আশা করছি আপনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার বিষয়ে আপনি সম্পূর্ণ লেখাটি পড়েছেন। এখানে আমরা এমন কিছু আলোচনা করেছি যেগুলো আপনি সবসময় আপনার ব্যবসায় কাজে লাগাতে পারেন। আশা করতেছি এগুলো আপনাকে সাহায্য করবে।

এখানে যে সকল টিপস এবং আইডিয়া আপনার সাথে শেয়ার করেছি, এগুলো আপনি ব্যবহার করে চাকরির পাশাপাশি নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুব সহজে পরিচালনা করা করতে সক্ষম হবেন।

Leave a Comment

Share via
Copy link