১২ টি ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া ও সাফল্যের টিপস

ঘরে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া আপনার কি আগের থেকেই ছিল? আমার মনে হয় এমনটি আপনি কখনো চিন্তা করেননি। ইন্টারনেট মানুষকে এভাবে বিজনেস করার সুবিধা দিবে সেটি আমরা প্রাথমিকভাবে কল্পনা করতে পারিনি। বর্তমানে আমরা ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছি। এখান থেকে একটি উচ্চ মানের প্রফিটেবল ব্যবসা তৈরি করতে পারি।

আপনি হয়তো এখনো অবহেলা করতে পারেন, যদি আপনার টেকনোলজি বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকে। তাই আমি আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি যদি অনলাইনে একটি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আমাদের গাইডলাইন গুলো অনুসরণ করুন। এমনকি আপনি চাইলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করেও এবিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন।

Table of Contents

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার পরিচিতি

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার পরিচিতি
ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার পরিচিতি

আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে এই ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনি এই ব্যবসার সাথে পরিচিত হতে না পারেন, তাহলে কিভাবে বিজনেস করবেন? মনে করুন, আপনি কারো সাথে যোগাযোগ করতে যাচ্ছেন, তাকে আপনি চিনেন না, তাহলে যোগাযোগ করার কোন সুযোগ থাকে না।

ঠিক একই ভাবে আপনি যদি অনলাইনে ঘরে বসে যে ব্যবসা করতে চান, যদি অনলাইন সম্পর্কে পরিচিত না হন, তাহলে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই চলুন আমরা অনলাইনের ঘরে বসে কিভাবে ব্যবসা করা যায়? সেই বিষয় সম্পর্কে পরিচিত হই।

একটি অনলাইন ব্যবসা কি?

একটি অনলাইন ব্যবসা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে করতে হয়। এর মধ্যে পণ্য বা সেবা বিক্রি, ডিজিটাল টুলস অফার করা, বা অনলাইন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান অন্তর্ভুক্তও থাকতে পারে।

টোটাল বিষয় হচ্ছে আপনি অনলাইনে যা ইচ্ছা তাই সেবা হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এমন অনেকগুলো সেবা রয়েছে, যেগুলোর চিন্তা আপনার মাথায় নাই। অন্যরা এখান থেকে উদ্যোক্তা হিসেবে লাভবান হচ্ছেন। আপনিও চাইলে একটি অনলাইনে ক্রিয়েটিভ আইডিয়া নিয়ে আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন, ফলে এখান থেকে উপকৃত হতে পারেন।

কেন ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা চালানোর উদ্যোগ নিবেন?

এএ প্রশ্নটির সহজ উত্তর হচ্ছে আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করেন, এক্ষেত্রে আপনার অফিসের বা কোন দোকানের ভাড়া দিতে হবে না। সেই সাথে আপনি স্বাধীনভাবে নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন সময় নির্বাচন করে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।

তাছাড়া আপনি ঘরে বসে ব্যবসা করলে পরিবারের সাহায্য পাবেন, এবং একাধিক বিষয় সম্পর্কে আপনার সাহায্য হবে। যেন আপনি ফ্রি মাইন্ডে কাজ করতে পারেন। এতে আরো অনেকগুলো সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন আপনাকে বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না। ওয়াইফাই বিল দিতে হবে না। অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। এগুলো আমাদের বাড়িতেই সবাই একসাথে ইউজ করার সুবিধাবাদে অতিরিক্ত কোন পেমেন্ট প্রয়োজন হয় না।

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা চালানোর সুবিধা:

যেকোনো কাজের সুবিধা এবং অসুবিধা তো থাকেই। এজন্য আমরা যদি ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা করি, তার জন্য কিছু সুবিধা ও অসুবিধে সম্পর্কে আমাদের জেনে নিতে হবে।

আপনাদের জন্য অনলাইন ব্যবসার সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করব। যেন আপনি এই বিষয় সম্পর্কে অনুপ্রাণিত হতে পারেন, এবং ঘরে বসে আপনার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

১. সময়সূচীতে স্বাধীনতা:

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করা যায়। এটি সম্পূর্ণ আপনার স্বাধীনতা। আপনি নিজের ইচ্ছামতই সবকিছু ঠিক করতে পারবেন।

কারণ এই ক্ষেত্রে আপনাকে বাধা দেওয়ার মত কেউ নাই। কোন অফিসে গিয়ে চাকরি করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি ঘরে বসে নিজের প্রোডাক্ট গুলোকে প্রমোট করবেন, এবং নিজে অর্ডার সংগ্রহ করে সেগুলোকে ডেলিভারি করার ব্যবস্থা করবেন।

এর চেয়ে আরো সুবিধাজনক বিজনেস আর হতে পারে? আপনার যদি কোন মতামত থাকে, সেটি আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।

২. ওভারহেড খরচ হ্রাস

একটু আগেই আমরা আলোচনা করেছি যে ওভারহেড খরচ থেকে আমরা বাঁচতে পারি। যেহেতু আপনার পরিবারের মধ্যেই ওয়াইফাই এবং বিদ্যুৎ বিল সবকিছুই দিতে হয়, তাহলে আপনাকে অতিরিক্ত কেন আবার খরচ করতে হবে?

যদি ঘরে বসেই আপনার ব্যবসাটি পরিচালনা করেন, তাহলে বাসা ভাড়া বা দোকানের ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ওয়াইফাই বিল, ইত্যাদি ওভারহেড খরচ গুলোকে কমিয়ে আনতে পারবেন।

অর্থাৎ আপনি যদি বাহিরে কোন জায়গায় দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতেন, সেখানে আপনাকে আলাদা ভাড়া দিতে হইতো। কিন্তু এখন ঘরে বসে যদি আপনি ব্যবসা করেন, তাহলে কোন রকমের ভাড়া দিতে হবে না। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রচুর পরিমাণ একটি ওভারহেড খরচ কমে যাচ্ছে।

৩. কাজে জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা:

নিজের পছন্দ অনুযায়ী সময়সূচি ঠিক করে যেহেতু এই ব্যবসাটি পরিচালনা করা যায়। তাই এখানে নিজের ভারসাম্য ধরে রাখা যায়। ভারসাম্য ম্যানেজমেন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যদি আপনি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান, তাহলেই কিন্তু আর সে ব্যবসা আপনার জন্য লাভজনক হলো না।

আপনাকে এমন একটি ব্যবসা করতে হবে, যে ব্যবসা করে আপনি আনন্দ পাবেন, এবং নিজের শরীরের ভারসাম্য, এবং পারিবারিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সঠিক থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা ব্যবসা করতে গিয়ে অথবা চাকরি করতে গিয়ে পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারিনা। তাই আপনি যদি স্বাধীন ভাবে অনলাইন ব্যবসাটি শুরু করেন, তাহলে আপনার সব কিছুর ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ করা সম্ভব।

জনপ্রিয় ১৫ টি ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া:

এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুবিধা এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা জনপ্রিয় ১৫ টি ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব। আপনি যে কোন একটি বিষয় নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। মনে রাখবেন, একাধিক কাজ একসাথে শুরু করলে কঠিন। একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ শুরু করবেন।

১. ই-কমার্স স্টোর পরিচালনা:

অনলাইন ব্যবসার সম্পর্কে যদি কথা বলতে চাই। প্রথমে আমাদেরকে ই-কমার্স নিয়ে কথা বলতে হবে। ই-কমার্স হচ্ছে অনলাইনের এমন একটি সুযোগ উন্মোচনকারী ব্যবসা, যা অনলাইন ব্যবসা কে একটি ভিন্ন ধাপে নিয়ে গেছে।

যদি আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান, তাহলে আমি প্রথমে আপনাকে বলব একটি ই-কমার্স তৈরি করার জন্য। যেটার মাধ্যমে আপনি আপনার যে কোন সার্ভিস আপনার ক্রেতাদেরকে অফার করতে পারবেন। যদি আপনার ক্রেতারা আপনাকে খুঁজে না পায়, তাহলে কিভাবে আপনার প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করবেন?

আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট আপনাকে আপনার প্রোডাক্টগুলোকে প্রদর্শন করার জন্য সাহায্য করবে। তাই আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি, অনলাইনে ই-কমার্স স্টোর পরিচালনাকারী হিসেবেও আপনি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন।

আপনি হয়তো বুঝতে পারেননি ই-কমার্স পরিচালনা কি? বর্তমানে যারা অনলাইনে ব্যবসা করতেছে, তাদের সবারই ই-কমার্স ম্যানেজ করার জন্য মানুষের প্রয়োজন হয়। আর এই ক্ষেত্রে আপনি যদি এবিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, কয়েক মাস ট্রেনিং গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে আপনি একজন ই-কমার্স পরিচালনাকারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:  মোবাইলে টাকা আয়ের ৩টা সহজ উপায় | Simple ways to earn money on mobile

২. ফ্রিল্যান্সিং সেবা

আপনার যদি লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার সেবা দিতে পারেন। Upwork এবং Fiverr-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ফ্রিল্যান্সারদের, তাদের দক্ষতা বিক্রি করার জন্য ক্লায়েন্টদের সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে।

আমি ২০১৬ সালে খুব মনোযোগ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেছিলাম। ফাইবারের মধ্যে আমার খুব ভালো রিভিউ এবং পজিশন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আমি অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম গুলোতে মনোযোগ দিতে গিয়ে ফ্রিল্যান্স সেক্টর থেকে সরে যায়। কিন্তু এই পজিশনটা এমন একটি পজিশন, যেখানে আপনাকে লেগে থাকতে হবে। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে পরামর্শ দিব প্রথমে আপনি কি সার্ভিস নিয়ে কাজ করবেন? সেই সার্ভিস সম্পর্কে নিজের দক্ষতা নিয়ে আসার জন্য।

যদি আপনি যে বিষয়ে সার্ভিস দিবেন সে সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে ফিন্যান্স মার্কেটপ্লেসের টিকে থাকা সম্ভব না।

বর্তমান সময়ে ক্রেতারা দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের কে হায়ার করতে পছন্দ করেন, তাই নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে যদি চান, তাহলে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটার হিসেবে, গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে, ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে জয়েন করতে পারেন। এটি ঘরে বসে একটি জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া।

যাদের ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার আগ্রহ রয়েছে, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলো ব্যবসা করা সহজ করে দিয়েছে। আপনি যে কোন বিষয়কেই নির্বাচন করে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি

মার্কেটিং এজেন্সি গুলোর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্যে এখনো ভালো কোন মার্কেটিং এজেন্সি হয় নাই। যে সকল মার্কেটিং এজেন্সি গুলো রয়েছে, তাদের কে বাদ দিয়ে বিভিন্ন এজেন্সির সাহায্য গ্রহণ করতে হচ্ছে।

বর্তমানে আপনি যদি একজন মার্কেটার হিসেবে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার নিজেরই একটি এজেন্সি তৈরি করে ফেলতে পারেন। অনলাইনে মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার জন্য আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যালগোরাম, এবং কন্টেন্ট রাইটিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

যদি আপনার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকে, তাহলেই আপনি একটি এজেন্সি তৈরি করতে পারবেন। এজেন্সিতে অন্যদেরকে কাজ করার সুযোগ দিয়ে নিজের একটি ব্যক্তিগত অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন। বর্তমান সময়ে যদি নিজেকে একটু ক্রিয়েটিভ হিসেবেই উপস্থাপন করা যায়, তাহলে অনলাইনে ব্যবসা করা একদমই সহজ।

ঘরে কিভাবে একটি এজেন্সি শুরু করবেন তা নিয়ে চিন্তিত?

যেহেতু ঘরে বসেই আমরা একটি এজেন্সি শুরু করার কথা বলেছি। এজন্য আমরা কিভাবে ঘরে বসেই একটি পরিকল্পনা করতে পারি? এবিষয় সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেওয়া যাক। আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটের পাঠকরা একদমই নতুন হয়ে থাকেন। এমনকি আপনার যদি বাস্তবিক পরামর্শের প্রয়োজন হয়, তাহলে সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।

সঠিক স্থান নির্বাচন:

প্রথমে আপনার বাড়িতে এমন একটি স্থান নির্বাচন করুন। যেখানে সব সময় তাপমাত্রা ভালো থাকে, এবং কাজ করার ক্ষেত্রে মনটা শীতল হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই এমন একটি জায়গা নির্বাচন করবেন, যেখানে অন্তত ৬ জন যেন বসে কাজ করতে পারেন।

কারণ যেহেতু আপনি একটি এজেন্সি তৈরির জন্য একটি স্থান নির্বাচন করতেছেন, তাই এজেন্সি হলে সেখানে অন্তত ৫/৬ জনের কাজ করার সুবিধা থাকতে হবে। কারণ আপনার আশেপাশের বিভিন্ন এক্সপার্টদেরকে নিয়ে আপনাকে এরকম একটি এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে আপনি ঘরে বসে অন্যদেরকে সার্ভিস প্রোভাইড করার মাধ্যমে সম্পূর্ণ টিম পরিচালনা করবেন।

প্রয়োজনীয় টুলস সেটআপ:

এজেন্সির জন্য যেহেতু আপনি ব্যবসা সেটআপ করবেন, ঘরের মধ্যে লাইটিং ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। যেমন: চেয়ার, টেবিল, লাইট, এবং অন্যান্য পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবস্থা সঠিকভাবে সেটআপ করুন। এমনভাবে সবকিছু সেট করতে হবে, যেন কাজের মাঝখানে কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে।

বর্তমানে বাজারে অনেক কম দামে আইপিএস পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ সব সময় থাকেন, সেজন্য আইপিএস এর ব্যবস্থা করতে পারেন। আপনি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে বর্তমানে একটি আইপিএস সেটআপ দিতে পারবেন এজেন্সির জন্য।

একটি উৎপাদনশীল পরিবেশ তৈরি করা:

আপনার টিমের সাথে পরামর্শ করে কাজ করার জন্য কি কি বিষয়গুলোর বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন? সেগুলোকে সরিয়ে একটি উৎপাদনশীল পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করুন। যে স্থানগুলোতে কাজ করবেন, সে স্থানগুলোতে বসে যদি আপনারা কমফোর্ট ফিল না করেন, তাহলেই ভালো সার্ভিস প্রদান করতে কাজের বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এমনকি এরিয়া কে নির্বাচন করুন যেন উষ্ণ হাওয়া বয়ে যাওয়া, এবং সঠিক তাপমাত্রা পরিমাপ মত থাকে। কারণ এবিষয়গুলো কাজের ক্ষেত্রে আপনাদের মনকে ফুরফুরা রাখবে, এবং সঠিক সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে একটি অনলাইন ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন।

৪. ডোমেইন ফিলিপিং এর ব্যবসা:

ওয়েবসাইট ফিলিপিং এর ব্যবসা সম্পর্কে তো অবশ্যই আপনাদের আইডিয়া রয়েছে। কিন্তু ডোমেন ফিলিপিং কিভাবে করতে হয়? এবিষয়ে অনেকেই জানেন না। বর্তমান অনলাইন বাজারে ফিলিপিং এমন একটি ব্যবসা যেটি খুবই লাভজনক, এবং এটি করতে একেবারে সামান্য বিনিয়োগ করতে হয়।

যেমন আপনি যদি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে প্রতিটি ডোমেন ক্রয় করার ক্ষেত্রে আপনাকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। যে ডোমেইনগুলো আপনি নির্বাচন করবেন, সেগুলো যদি সঠিকভাবে নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে প্রতিটি ডোমেইন থেকেই লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ প্রফিট করা সম্ভব।

তবে অবশ্যই এগুলো ট্রেনডিং ডোমেইন হতে হবে, এবং প্রিমিয়াম লেভেলের ডোমেন আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। ডোমেইন ফিলিপিং ব্যবসা করার জন্য নিজেকে একটু ক্রিয়েটিভ হতে হবে। এমনকি নিজেকে একটু স্বার্থপরও হতে হবে। যেন এমন ডোমেইন গুলোকে আপনি নির্বাচন করতে হবে, যেগুলো অন্যদের ব্যবসার কাজে লাগে, কিন্তু তার আগে আপনি এগুলো রেজিস্ট্রেশন করে ফেলবেন।

ফিলিপিং ব্যবসার মূল কারণ হচ্ছে, আপনি প্রথমে একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করবেন, ডোমেইন এমন হতে হবে যেটি অন্যদের পরবর্তীতে প্রয়োজন হবে। পরে তারা বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করার জন্য বাধ্য হবে।

আপনি মনে করেন ৬০০ টাকা দিয়ে একটি ডোমেন রেজিস্ট্রেশন করলেন, সে ডোমেনটি ফিলিপিং এর জন্য ব্যবসায়ী লিস্টিং করলেন, এবং যদি সে ডোমেটি অন্য একটি কোম্পানির প্রয়োজন হয়, সে কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবে, এবং এর একটি দান নির্ধারণ করার মাধ্যমে আপনি সেই ডোমেটি অন্যের কাছে বিক্রি করে দিবেন।

যেমন ৬০০ টাকায় কেনা ডোমেনটি আপনি ৬০০০ টাকায়ও বিক্রি করতে পারেন, এমনকি ৬ লাখ টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ডোমেনটির মালিক হচ্ছেন আপনি, আপনি এটার দাম নির্ধারণ করতে পারবেন।

৫. ই-বুক বিক্রি করার অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া:

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার করে বর্তমানে অনেকেই ই-বুক লিখে বিক্রি করছে। আপনি যদি টেকনোলজিতে নিজের জ্ঞানকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন, এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যবহার ই-বুক লিখতে পারেন, সেগুলো বিক্রি করতে পারেন।

তাহলে ই-বুক রাইটার হিসেবে আপনি অনলাইনে নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বর্তমানে amazon এর মধ্যেই ebook বিক্রি করে অনেকে লাভবান হচ্ছে। অ্যামাজনের মধ্যে একটি ইবুক Kindle নামের অপশন রয়েছে। যেখানে আপনার লেখা ই-বুক বিক্রি করতে পারবেন।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যদি একটি ভালো মানের ই-বুক লিখতে পারেন। সেই ই-বুকটি যত বিক্রি করতে পারেন, তত বেশি এখান থেকে লাভবান হবেন। অনলাইনে যারা বিনা বিনিয়োগে ব্যবসার জন্য স্বপ্ন দেখেন, তাদের জন্য ই-বুক রাইটিং ব্যবসা হচ্ছে খুবই লাভজনক।

কারণ এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে কোন রকম বিনিয়োগ করতে হবে না। কোনরকম বিনিয়োগ ছাড়াই এই অনলাইন ব্যবসাটি আপনি শুরু করতে পারেন।

তবে ই-বুক লেখার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল টুল গুলোর উপরে নির্ভর করলে হবে না। নিজের মতো করেই তথ্য ই-বুক গুলো যুক্ত করতে হবে। যেন ই-বুক গুলো পড়ার জন্যই আপনার পাঠকরা উৎসাহী হয়ে থাকেন।

কারণ আপনার ই-বুক যদি পড়তে মানুষ আগ্রহী না হয়, তাহলে ইবুক গুলো বিক্রি করা সম্ভব হবে না। এজন্য উচ্চমানের ই-বুক লিখতে চেষ্টা করুন যেগুলো মানুষের পছন্দ হয়।

৬. ঘরে অনলাইনে ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা করুন:

আপনি যদি মনে করে থাকেন বর্তমান সময়ে ড্রপ শিপিং এর কোন চাহিদা নাই, তাহলে আপনি ভুল পজিশনে রয়েছেন। দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ ঘরে বসে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করছে, এবং সময়কে বাঁচানোর জন্যই তারা কয়েক টাকা বেশি খরচ করছে।

আরও পড়ুন:  ১১টি অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় - ২০২৪ | Best Online Income Business

ঠিক এই সুবিধা কে কাজে লাগিয়ে যদি আপনি বিনা পুঁজিতে অনলাইনে ঘরে বসে ব্যবসা করতে চান, ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ড্রপ শিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা, যে ব্যবসায় আপনার হাজার হাজার প্রোডাক্ট থাকবে, কিন্তু সেই প্রোডাক্ট গুলোর মালিক থাকবে অন্য কেউ, বিক্রি করবেন আপনি।

অর্থাৎ এই প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে লাভবান হবেন আপনি ও আপনার যে প্রোডাক্ট এর মালিক তিনিও।

মজার বিষয় হচ্ছে, আপনার যারা ক্রেতা হবেন তারা জানবে না আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্টটি ক্রয় করতেছে না। তারা শুধু আপনাকে চিনবে। অর্থাৎ আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্টটি ক্রয় করতেছে, অথবা আপনার প্রতিষ্ঠান কে চিনবে। আপনার প্রতিষ্ঠানকেই তারা প্রমোট করবেন।

সুতরাং আপনি যদি একজন ড্রপশিপার হিসেবে কাজ করতে চান, বর্তমান সময়টি হচ্ছে আপনার জন্য উজ্জ্বল সময়, যেখানে আপনি ঘরে বসেই ড্রপ শিপিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। একটি ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনি সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাকে সবচেয়ে কম দামে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে একটি ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারব।

তবে একটি ভালো মানের ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার বাজেট থাকা প্রয়োজন হবে। উন্নত মানের জন্য ৫ থেকে ৩০ হাজার টাকাও আপনার ড্রপ শিপিং ওয়েবসাইটে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হতে পারে।

কিন্তু প্রোডাক্টের জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে না। কারণ এক্ষেত্রে আপনি হাজার হাজার প্রোডাক্ট আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। যেগুলো আপনার গুদামজাত করার প্রয়োজন হবে না।

অর্থাৎ প্রোডাক্ট গুলো থাকবে অন্যের গুদামে, কিন্তু বিক্রি করবেন। আপনি আরেকটি সুবিধা হচ্ছে ড্রপ শিপিং এর ক্ষেত্রে প্রোডাক্টটা আপনাকে ডেলিভারি করতে হবে না। যার কাছে বর্তমানে প্রোডাক্টটি রয়েছে। তিনি প্রোডাক্টের ডেলিভারি করবে, এবং ডেলিভারি করেই প্রফিটের অংশটি আপনার কাছে বুঝিয়ে দিবে।

৭. ওয়েবসাইট টেমপ্লেট বিক্রি করুন:

কোডিং করে এক সময় ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেক ব্যয়বহুল অবস্থা ছিল। ডেভলপাররা নিজেদের তৈরি টেমপ্লেট গুলো কম দামে বিক্রি করার ফলে এখন থেকেই খুব সহজেই যে কেউ টেম্পলেটের মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনি যদি একজন ছোটখাটো ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ডিজাইনার হয়ে থাকেন, আপনার ওয়েবসাইটের টেমপ্লেট গুলো ডিজাইন করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং এসইও ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট টেম্পলেট ডিজাইনারদের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ইউজার ফ্রেন্ডলি টেমপ্লেট ডিজাইনার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পাবেন।

যারা ব্লগিং করেন, ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন, তাদের জন্য একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি টেমপ্লেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকেন।

আপনার মনে হতে পারে টেমপ্লেট ডিজাইনের কাজটি অনেক বেশি জটিল। যদি কয়েক মাস কোডিং নিয়ে প্র্যাকটিস করেন, তাহলে আপনি একাধিক টেমপ্লেট ডিজাইন করতে পারবেন। শুধুমাত্র আপনার ক্রিয়েটিভ ডিজাইন আইডিয়াটা থাকা প্রয়োজন।

যদি নিজেকে ক্রিয়েটিভ মনে করেন, তাহলে কোডিং প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট টেমপ্লেট ডিজাইন করতে পারেন। সেগুলো মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। আশা করতেছি ঘরে বসে আপনি এই লাভজনক ব্যবসা আইডিয়াটি শুরু করতে পারবেন। লাভজনক ব্যবসা আইডিয়াটি ঘরে বসে পরিচালনা করার জন্য আপনাকে কোন রকম বিনিয়োগ করতে হবে না।

৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয় করুন :

মনে করেন অন্যজনের কাছে কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে। সে প্রোডাক্ট গুলোর গুণগতমান খুবই ভালো। আপনি আপনার পরিচিত একজন কে বললেন, ভাই উনার কাছ থেকে এই প্রোডাক্টগুলো ক্রয় করতে পারেন। কারণ এই প্রোডাক্ট গুলো খুবই ভালো।

আপনার কথা শুনে তার কাছ থেকে ঐব্যক্তি একটি প্রোডাক্ট ক্রয় করল। আপনি যেহেতু তাকে প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য উৎসাহিত করলেন, সেজন্য যার প্রোডাক্টিভ বিক্রি হয়েছে। ফলে প্রোডাক্টসের মালিক আপনাকে দুই টাকা সম্মানী দিল। এই ২০০ টাকা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট কমিশন উপার্জন।

আশা করছি, আপনি বুঝতে পেরেছেন। মার্কেটিং করার জন্য নিজের একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম থাকা প্রয়োজন। যেমন আপনার ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইট, বা নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল, অথবা ট্রাফিক রয়েছে এরকম একটি ট্রাফিক সোর্স। অর্থাৎ যেখানে আপনি প্রচারণা করলে সেলস আসতে পারে, সেই সকল মাধ্যমগুলো আপনার থাকতে হবে।।

আপনি যদি ৪-৫ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি এফিলিয়েট ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেন, সেখানে যদি আপনার প্রোডাক্টের রিভিউগুলো পোস্ট করতে শুরু করেন, আশা করতেছি এখান থেকে আপনি ভালো মানের একটি এফিলিয়েট অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বর্তমানে অনেকে লাভবান হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতেও এর চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এটি যখন থেকে শুরু হয়েছে, তখন থেকেই মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে খুব জনপ্রিয়তার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি স্বাধীনভাবেই নিজের রিভিউ পোস্ট করে উপার্জন করতে পারবেন।

৯. কনটেন্ট রাইটার হিসেবেই অনলাইনে ঘরে বসে আয় করুন:

এই ওয়েবসাইটের মধ্যে আমরা বিভিন্ন লেখাগুলোতে কন্টেন্ট রাইটারদের কথা উল্লেখ করেছি। আপনি যে লেখাগুলো পড়তেছেন এগুলো একজন কন্টেন্ট রাইটার লিখেছেন। যদি এই লেখাটি কারো কাছ থেকে ক্রয় করে নেওয়া হয়, এই কন্টেন্টের জন্য তাকে অন্তত ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।

আপনি এখান থেকেই আইডিয়া নিতে পারেন যে, একজন কন্টেন্ট রাইটারদের চাহিদা কতটুকু! আর যদি আপনি একজন ইংরেজি ভাষার কন্টেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, এবং এসইও ফ্রেন্ডলি হিউম্যান রাইট কন্টেন্ট আপনি লিখতে পারেন, আপনার প্রতিটি কনটেন্টের দাম হবে ১০ থেকে ২০ ডলার বা তারও বেশি।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বাজারে চলে আসার পর থেকেই রাইটারদের চাহিদা আকাশচুমী হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ মানুষের লেখা আর্টিকেলগুলোর দাম এমনভাবে বেড়েছে যে, AI তাদেরকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বাজারে আসার পর থেকে কন্টেন্ট রাইটারদের ডিমান্ড কমে গেছে। কিন্তু তার বিপরীত টাই ঘটেছে।

বর্তমানে এআই টুলগুলো যে কনটেন্ট তৈরি করেন, সে কন্টেন্ট গুলো মানুষের জন্য হেল্পফুল না। যার কারণে সবাই মানুষের মাধ্যমে বেশি দাম দিয়ে লিখিয়ে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে উৎসাহী হচ্ছে।

সুতরাং আপনি যদি একজন ভালো কন্টেন রাইটার হয়ে থাকেন, বিভিন্ন বিষয়ের উপরেই উচ্চমানের কনটেন্ট আপনি লিখতে পারেন, তাহলেই অনলাইনে ঘরে বসে আপনার কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কোন রকমের বিনিয়োগ করতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনা বিনিয়োগেই এই কন্টেন্ট রাইটিং ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

১০. ডেটা এন্ট্রি সার্ভিস দিয়ে বিজনেস করুন:

বেসিক লেভেল এর কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির কাজ। আপনি যদি একজন নতুন অনলাইনে কাজ করার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন, আপনি ডাটা এন্ট্রি সার্ভিস দিয়ে অনলাইনে বিজনেস করতে পারেন। ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য এটি হচ্ছে সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম। এটি সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য উপযুক্ত।

ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে করতে যখন আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে, তখন আপনি পরবর্তী সুযোগ করে নিতে পারবেন। আমি আমার সর্বপ্রথম অনলাইনে কাজ ডাটা এন্ট্রি নিয়ে করেছি। যেখানে আমার প্রচুর সময় নষ্ট হতো কিন্তু উপার্জন হয়তো কম।

পরবর্তীতে আমি যখন একাজগুলো করতে করতে নিজের অভিজ্ঞতার লেবেল বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। তখন ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ইত্যাদি বিষয় গুলোর উপরে নজর দিতে শুরু করি। এবং সেখান থেকেই আমি ব্লগিং স্টার্ট করি, এবং ইউটিউবে কন্টেন তৈরি করা শুরু করি। ঠিক আপনিও এভাবেই আপনার অনলাইনে ঘরে বসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন, যদি প্রাথমিকভাবে আপনি শূন্য থেকে শুরু করেন।

১১. অনলাইন রিসেলিং বিজনেস:

পণ্য কিনে পণ্য বিক্রি করা এটি হচ্ছে রিসেলিং বিজনেস। এক্ষেত্রে আপনি আপনার আশেপাশের যে কোন দোকান, বা শোরুম থেকেই পণ্য কিনে নিতে পারেন। পাইকারি দামে ক্রয় করে সেই পণ্যগুলো অনলাইনে, বা আপনার এরিয়াতে লোকাল দোকানে আবার পুনরায় বিক্রি করতে পারেন, এটিকে বলে রিসেলিং বিজনেস।

আরও পড়ুন:  ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ | Video to earn

ঠিক একই পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে রিসেলিং ব্যবসা করতে পারেন। ঘরে বসে এর জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। প্রথমে যেকোনো একটি রিসেলার প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করতে হবে। এবং সে প্রতিষ্ঠান থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে, সে প্রোডাক্ট অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিক্রি করতে হবে।

লিসেনিং ব্যবসা করার জন্য একটি রিসেলিং ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রয়োজন, যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন। অনেকেই ফেসবুক পেইজ, এবং ইউটিউবে রিলস ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে রিসেলিং ব্যবসা করে আসছে। তবে এফেক্টিভভাবে করার জন্য আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট করে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

এই ব্যবসাটি করেও অনলাইনে ঘরে বসেই আপনি প্রতিমাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত অনায়াসেই উপার্জন করতে পারবেন। ইনকাম করার জন্য অনলাইনে অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। শুধুমাত্র যে কোন একটি পদ্ধতি আপনাকে ধরে রাখতে হবে, ও প্রাক্টিস করতে হবে, তাহলে আপনি সফল হবেন।

১২. ভিডিও এডিট করার সেবা বিক্রি:

বড় বড় যারা ইউটিউবে রয়েছে, তাদের কনটেন্ট গুলো এডিট করে দেওয়ার জন্য ভিডিও এডিটরদের চাহিদা উচ্চমানের। কারণ বর্তমান সময়ে যে কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৈরি হয়েছে, সেই বাজার অনুযায়ী ভিডিও এডিটরদের চাহিদা তুলনায় কম।

আপনি যদি ভালো মানের ভিডিও কনটেন্ট এডিট করতে পারেন, তাহলে একজন ভিডিও এডিটর সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। ভিডিও এডিট করার জন্য যে সকল উচ্চ মানের সফটওয়্যার রয়েছে, সেই সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার জানতে হবে। এবং ভালো ইফেক্ট এবং দক্ষতা যদি আপনার থাকে, আপনি ভিডিও কন্টেন্ট এডিটর হিসেবে ব্যবসা করতে পারবেন।

এ ব্যবসাটি শুরু করার জন্য কোন রকমের বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র আপনার ইন্টারনেট সংযোগ, এবং একটি কম্পিউটার থাকলে হয়। সে কম্পিউটার দিয়েই আপনি এডিটিং সফটওয়্যার ইউজ করেই ভিডিও কনটেন্ট এডিট করতে পারবেন।

প্রশ্ন হতে পারে যে এ কাজগুলো কোথা থেকে পাবেন? বাংলাদেশের অনেকগুলো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস রয়েছে, সেই সাথে ইন্টারন্যাশনাল অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস তো আছেই, একাজগুলো সকল মার্কেটপ্লেস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

ঘরে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য সেরা টিপস:

প্রতিটি কাজের জন্য কিছু অতিরিক্ত টিপস আপনাদেরকে অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলেও এই ক্ষেত্রে কিছু টিপস রয়েছে। যেগুলো অনলাইন থেকে আপনাকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করতে পারেন।

চলুন এমন কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যেগুলো আমরা আমাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে পারি।

আপনার অনলাইন উপস্থিতি বিল্ডিং

অনলাইন উপস্থিতি বলতে আমরা বুঝাচ্ছি যে আপনাদেরকে অনলাইনে সবসময় একটিভ থাকতে হবে। ২৪ ঘন্টায় অনলাইনে বসে থাকবেন এমনটা নয়। যখন আপনি ফ্রি থাকবেন, এবং আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্টরা যখন অনলাইনে থাকবে মনে হবে, তখন থেকেই আপনাকে অনলাইনে এক্টিভ থাকতে হবে। এবং অনলাইনে আপনার বিভিন্ন সার্ভিস সম্পর্কে পোস্ট করতে হবে।

যখন আপনি এভাবে করে মার্কেটিং করার মাধ্যমে এটি কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন। এবং অনলাইনে নিজের উপস্থিতি সবসময় রাখতে পারবেন। তখন মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে, এবং সেখান থেকে আপনি অনেক ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজের অর্ডার পেতে পারেন।

একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডিজাইন করা:

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য ও যে কোন কাজের জন্য একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ ভালো মানের একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এসইও সহ ওয়েবসাইট করে ফেললে আপনি ক্লায়েন্ট পেতে সমস্যা হবে না। আপনার যদি ভালো মানের একটি প্ল্যাটফর্ম থাকে, তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে এসে ধরা দিবে। এবং সে ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আপনি ক্লায়েন্টের যে কোন যোগাযোগ এবং সার্ভিস খুব সহজেই প্রদান করতে পারবেন।

এজন্য আপনি যে ধরনের অনলাইন ব্যবসা করেন না কেন, আপনার প্রাথমিক কাজ হবে একটি ওয়েবসাইট ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা। ওয়েবসাইটের ডিজাইন করে ফেলা। যেন আপনি আপনার প্ল্যাটফর্মটাকে মার্কেটিং করার মাধ্যমে বুস্ট করতে পারেন, এবং সবার কাছে পরিচিতি লাভ করার মাধ্যমে একাধিক ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার

বর্তমান সময়ে ফেসবুক টুইটার ইউটিউব সহ ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো এমন উপাদান হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসাকে মুহূর্তের মধ্যে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। এই জন্য আপনি এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোকে প্রাধান্য দিতে পারেন।

নিয়মিত এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতেই কনটেন্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ব্যবসার পরিচালনা, এবং বেশি বেশি ক্লায়েন্ট এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। যার মাধ্যমে আপনি যেই ব্যবসা অনলাইনে করেন না কেন, ঘরে বসেই আপনার সার্ভিস দেওয়ার মাধ্যমেই বেশি বেশি ক্লায়েন্ট পাবেন, এবং বেশি উপার্জন করতে পারবেন।

এসইও কৌশল বাস্তবায়ন

নিজের উদ্যোগেই যদি সম্পূর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করতে চান, তাহলে অনলাইনে আপনার এসইও সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে না বুঝেন, তাহলে নিজের ওয়েবসাইট, এবং নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল গুলোকে বৃদ্ধি করার জন্য, বা কমিউনিটি তৈরি করার জন্য, আপনার এবিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যদি আপনি এবিষয় সম্পর্কে আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলেই আপনার ব্যবসা খুব দারুণভাবে এগিয়ে যাবে।

ব্যবসায় সাফল্যের জন্য টিপস

সফলতা পাওয়ার জন্য কিছু আপনার জন্য কিছু টিপস রয়েছে। যেই টিপস গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের ব্যর্থ হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। অর্থাৎ সফল ব্যক্তিরাই এই কৌশল গুলো অনুসরণ করেই অনলাইনে ব্যবসায় সফল হয়েছেন। এজন্য আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এখানে রয়েছে।

সংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল থাকুন

যেকোনো কাজ যদি গোছানো এবং সুশৃংখলভাবে করতে পারেন, তাহলে এসব কাজে আপনি মজা পাবেন। আপনি যে ব্যবসা করেন না কেন, আপনার ব্যবসাটি হতে হবে সংগঠিত এবং সুশৃংখল। আপনার কর্মচারী থেকে শুরু করে আপনি যদি প্রাথমিকভাবে একাই নিজের ব্যবসা সামাল দেন, তাহলেও আপনাকে এমনভাবে ব্যবসাটি সুসংগঠিত এবং সুশৃংখল রাখতে হবে।

যেন আপনার ব্যবসায় আপনাকে ব্যাক পেতে না হয়। এবং অতিরিক্ত পরিশ্রম যেন না হয়। সবকিছু যেন আপনার হাতের কাছে গোছানো পেয়ে যান।

ক্রমাগত শিখুন এবং মানিয়ে নিন

যখন কোন একটা কিছু নতুন শুরু করবেন, তখন ব্যর্থতা আসবে, সফলতা আসবে। কিছুদিন ব্যর্থতা, কিছুদিন সফলতা। ঠিক এখান থেকে আপনাকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি আপনার ব্যবসাটাকে বৃদ্ধি করতে চান, সবার কাছে পরিচিতি লাভ করাতে চান, আপনাকে অনেক ধরনের কষ্ট সম্মুখীন হতে হবে।

সেই কষ্টগুলো অপেক্ষা করে আপনাকে আপনার ব্যবসাটাকে এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য আপনাকে ক্রমাগত শিখতে হবে, এবং পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। যত বেশি আপনি নিজেই শিখতে পারবেন, এবং পরিস্থিতিকে নিজের সাথে মানে নিতে পারবেন, তত বেশি আপনি এখান থেকে উপকৃত হবেন।

অন্যান্য উদ্যোক্তাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

আপনার মত বিষয় নিয়ে যারা কাজ করতেছে এমন উদ্যোক্তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন। কারণ তাদের কাছ থেকে অনেক হেল্প পাবেন এবং তাদের যেই ব্যবসা রয়েছে, সে ব্যবসা থেকে আপনি অনেক ধরনের বিষয় শিখতে পারবেন।

এজন্য আপনার বিষয় নিয়ে যারা ব্যবসা করতেছে, তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখলে তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। যেগুলো আপনার ব্যবসায় কাজে লাগাতে পারবেন।

FAQs

নতুনদের জন্য সেরা অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া কি?

নতুনদের জন্য সর্বোত্তম অনলাইন ব্যবসার আইডিয়াগুলো প্রায়শই আপনার আগ্রহ, দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদার সাথে যুক্ত৷ জনপ্রিয় উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে ই-কমার্স স্টোর, ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস, এবং ডিজিটাল মার্কেটিং।

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে আমার কত টাকা লাগবে?

ঘরে বসে একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ব্যবসায়িক মডেল, বিষয়, এবং অপারেশনের স্কেলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। কিছু ব্যবসা ন্যূনতম বিনিয়োগের সাথে শুরু করা যেতে পারে। যেমন: টুলস, মার্কেটিং, এবং ইনভেন্টরির জন্য আরও উল্লেখযোগ্য অগ্রিম খরচের প্রয়োজন হতে পারে।

ফুলটাইম চাকরি করে কি অনলাইন ব্যবসা চালানো সম্ভব?

হ্যাঁ, ফুলটাইম চাকরি করার পাশাপাশি একটি অনলাইন ব্যবসা চালানো সম্ভব, তবে এর জন্য সতর্ক পরিকল্পনা, সময় ব্যবস্থাপনা এবং উৎসর্গের প্রয়োজন। আপনার ব্যবসায় কাজ করার জন্য প্রতিদিন বা সপ্তাহে নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে শুরু করুন, এবং আপনার ব্যবসার বৃদ্ধির সাথে সাথে ধীরে ধীরে পরিকল্পনা পরিবর্তন করুন।

আমি কিভাবে আমার অনলাইন ব্যবসায় গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পারি?

আপনার অনলাইন ব্যবসায় গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে, মূল্যবান কন্টেন্ট তৈরি, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আপনার ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করা, এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার টার্গেট শ্রোতাদের সাথে জড়িত হওয়ার উপর ফোকাস করুন৷ প্রথমবার কেনাকাটা করতে এবং ব্যবসার পুনরাবৃত্তি করতে উৎসাহিত করার জন্য প্রচার, ডিসকাউন্ট এবং প্রণোদনা অফার করুন।

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত সারমর্ম:

সম্মানিত পাঠক, আশা করছি আপনারা অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। কিভাবে অনলাইনে ব্যবসা করবেন? এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেলে অনেকগুলো আইডিয়া, টিপস, এবং কৌশল শেয়ার করা হয়েছে, এগুলো আপনারা কাজে লাগাতে পারেন। আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে কিনা? এবং আর্টিকেল সম্পর্কিত আপনাদের যেকোনো তথ্য মতামত শেয়ার করার জন্য আমাদের কমেন্ট বক্স ব্যবহার করুন।

Leave a Comment

Share via
Copy link