সেরা ১০টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া | ২০২৪ সালের সেরা উপায়

মানুষ বিভিন্নভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করছে। আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করেন, তাহলে এমন কিছু অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া আপনার জানা উচিত, যেগুলো আপনি অনলাইনে ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই গাইডলাইনটিতে আমরা এমন ১০টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যেগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। আশা করতেছি অনলাইন থেকে আপনি একটি ক্যারিয়ার করার জন্য বিশাল একটি সুযোগ তৈরি করতে পারবেন

আমি ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে আসছি। আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যেন আপনারা অনলাইন থেকে ইনকাম করে ভালো একটি উপার্জন করতে পারেন। আশা করতেছি আপনি অনলাইনে সফল হবেন। যদি আপনি লেগে থাকতে পারেন, অনলাইনে যে ব্যবসা করেন না কেন, অনলাইনে প্রথমে আপনাকে লেগে থাকতে হবে। নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো করে শিখতে হবে। আপনি যদি সে বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ঝালাই করে নিতে পারেন, তাহলে যে কোন উপায়ে আপনি অনলাইন থেকে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইন ব্যবসা শুরু করার আগে কী কী বিষয় বিবেচনা করা উচিত

একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য বিভিন্ন বিষয় আপনাকে প্রথমে বিবেচনায় আনতে হবে। যেমন আপনি কোন বিষয়ে অনলাইনে ব্যবসা করবেন? যে ব্যবসা আইডিয়াটি আপনি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন, সেটি আপনার জন্য যত উপযুক্ত কিনা? এই ব্যবসা আইডিয়া থেকে আপনি কত পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন? ব্যবসাটি আপনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন কিনা? ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে কত পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে? বিনিয়োগ করার সামর্থ্য আপনার রয়েছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আপনার প্রথমে বিবেচনা করতে হবে। যেন আপনার ব্যবসায় কোন রকমের বাধা সৃষ্টি না হয়।

অনলাইনে যে ব্যবসায় করে না কেন আপনাকে ছোট পুঁজির একটি বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগ ছাড়া কোন ধরনের ব্যবসা হয় না। এই কারণে আপনি যে ব্যবসাটি নির্বাচন করবেন, সেটি এমন একটি ব্যবসা হতে হবে যেন আপনাকে প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করতে না হয়। সামান্য বিনিয়োগে যেন আপনি সফলভাবে আপনার ব্যবসার ধার করাতে পারেন। আপনার বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে আপনাকে ব্যবসা আইডিয়া নির্বাচন করতে হবে।

চলুন তাহলে আমরা বাঁচাই করা ১০ টি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিই:

১. ফ্রিল্যান্সিং সেবা প্রদান

ফ্রিল্যান্সিং সেবা প্রদান
ফ্রিল্যান্সিং সেবা প্রদান

আপনি যদি মানুষের জন্য উপকার করতে চান, মানুষের কে সেবা দিয়ে উপার্জন করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে সেরা একটি মাধ্যম। আপনি চাইলে ঘরে বসে বিভিন্ন মানুষের উপকার করেই উপার্জন করতে পারেন, সেটি একমাত্র সম্ভব হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে। আপনি প্রাথমিকভাবে কি কি বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে? সেটি নির্বাচন করবেন। নির্বাচন করার পরে আপনি ফাইবার অথবা Upwork অথবা ফ্রিল্যান্সারের মাধ্যমে একটি একাউন্ট তৈরি করবেন। একাউন্ট তৈরি করার পর আপনি কি কি সার্ভিস দিচ্ছেন, সেগুলোকে লিস্টিং করবেন লিস্টিং করার পর দেখবেন একাধিক মানুষ আপনার কাছ থেকে সহযোগিতা চাচ্ছে। এই সহযোগিতা হচ্ছে এমন একটি সহযোগিতা যেটি ফ্রিতে নয়। বরং টাকার মাধ্যমে আপনাকে কাজ করতে হবে।

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যদি আপনি সার্ভিস দিতে পারেন, তাহলে আপনার সুনাম গড়ে উঠবে। এমনকি আপনি খুব দ্রুত এখান থেকে ভালো লাভবান হতে পারবেন। একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসেই এক হাজার থেকে দেড় হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে।

যদি নিজেকে সেবা দেওয়ার মাধ্যমে গড়ে তুলতে চান, এবং সেবা দিয়েই উপার্জন করতে চান, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আজ থেকে জয়েন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হচ্ছে এমন একটি স্বাধীন পেশা, যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছা মত বিভিন্ন ভায়ারদের সাথে কাজ করতে পারবেন। এমনকি এটাতে আপনি সুযোগ অনুযায়ী নিজের যখন চান, তখন কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

২. ই-কমার্স ব্যবসা

অনলাইনে একটি ইলেকট্রনিক ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। এখানে কোন ধরনের পরিশ্রম নাই। শুধুমাত্র আপনার মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি আপনার ব্র্যান্ডের নাম নির্বাচন করতে হবে। সে নাম দিয়ে একটি ওয়েবসাইট আপনাকে সেটআপ দিতে হবে।

ওয়েবসাইটটি সেটআপ হয়ে গেলে আপনি কি কি পণ্য বিক্রি করবেন, সে পণ্যগুলো আপনার ওয়েবসাইটে লিস্টিং করতে হবে। ওয়েবসাইটে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোকে আপলোড করার পরে আপনি মার্কেটিং করবেন। মার্কেটিং করা খুবই সহজ।

অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে যদি আপনার সাধারণ জ্ঞান থাকে, তাহলে আপনি খুব সহজে মার্কেটিং করে ক্রেতাদের কাছে আপনার যে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। আপনি প্রাথমিকভাবে ফ্রি মার্কেটিং করার জন্য ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহার করতে পারেন।

ফেসবুক এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিন। এগুলোতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি খুব সহজে এখানে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করে একটি ই-কমার্স বিজনেস দাঁড় করাতে পারবেন। ই-কমার্স থেকে প্রতি মাসে আপনার প্রোডাক্টের উপর নির্ভর করে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রফিট করতে পারবেন।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি

বাংলাদেশের মার্কেটে ফ্রিল্যান্সারদের অনেক বেশি দক্ষতা রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কে দিয়ে কাজ করাতে সবাই সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এক্ষেত্রে আপনি যদি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি দিয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য হয়ে আপনি মার্কেটিং এর সার্ভিস দিতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি

কোন অনলাইন বিজনেসকে কিভাবে সফলতার পর্যায়ে নিয়ে যাবে, সে বিষয়ে নতুন নতুন কৌশল এপ্লাই করে, সেটাতে প্রয়োগ করা একটা এজেন্সির কাজ। আপনি যদি একটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এজেন্সি করতে পারেন, তাহলে আপনি বাংলাদেশের মার্কেটে যারা ই-কমার্স ব্যবসায়ী রয়েছে, তাদেরকে সাপোর্ট দিতে পারেন। তাদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজের ব্যবসার পাশাপাশি অন্যদের ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য সাহায্য করতে পারেন।

এজেন্সির ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। কারণ এখানে আপনাকে কোন ধরনের প্রোডাক্টে বিনিয়োগ করতে হবে না। শুধুমাত্র আপনার টিম মেম্বারদের জ্ঞান বিক্রি করে আপনি এখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন। আপনার টিম মেম্বাররা যত বেশি দক্ষ হবে, তত বেশি এজেন্সি থেকে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। তবে এজেন্সির কাস্টমারদেরকে ধরে রাখার জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিতে হবে।

৪. কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ও মনিটাইজেশন

আমি যেহেতু আপনাদের জন্য এই কন্টেন্ট গুলো লিখেছি। এজন্য আপনারা আমার এই ব্লগ ওয়েবসাইটে এসেই এই কন্টেনগুলো পড়তে পারতেছেন। এই কন্টেন্টগুলো কিন্তু আমি এমনি এমনি লিখি নাই। কারণ এই কনটেন্ট গুলো তৈরি করার পেছনে আমার একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্যটি হচ্ছে আমার কন্টেন্ট গুলো মনিটাইজ করে ইনকাম করা।

আমার ব্লগ পোস্টের যতজন পাঠক আসবে ততজন পাঠককে আমি ব্লগ পোস্টে বিজ্ঞাপন দেখাবো। বিজ্ঞাপন দেখানোর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন উপার্জনের মাধ্যম রয়েছে। সেই উপার্জনের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আমার কনটেন্ট থেকে ইনকাম করব। এই জন্য আমি আবার এক কন্টেন্ট গুলো আপনাদের জন্য তৈরি করেছি।

আপনিও একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আপনার কনটেন্ট গুলো মনিটাইজ করে উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান সময়ে কন্টেন্ট ক্রিকেটাররা খুব ভালো স্বাচ্ছন্দ বোধ করে ব্লগ কন্টেন তৈরি করার ক্ষেত্রে। আমি নিজেও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কন্টেন তৈরি করতে পছন্দ করি। আপনি যদি আপনার কন্টেনগুলো মনিটাইজ করে উপার্জন করতে চান, তাহলে ব্লগিং হচ্ছে আপনার জন্য সেরা একটি পদ্ধতি।

৫. অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল তৈরি

কোর্স তৈরি করবেন একবার ইনকাম করবেন বারবার। এই কথা কেন বললাম সে বিষয়টি নিয়ে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন। যদি এই ব্যবসাটি আপনি করেন। কারণ আপনাকে এ ক্ষেত্রে একবারে কোর্স তৈরি করতে হবে। যে কোর্সটি বা টিউটোরিয়ালটি আপনি একবার রেকর্ড করবেন। সে টিউটোরিয়ালটি ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন, বা কোর্সটি আপনি ইউটিউব বা অন্য কোন সেক্টরের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।

যখন কোর্সগুলো বিক্রি করবেন, তখন কিন্তু আপনি বারবার এখান থেকে উপকৃত হবেন। টিউটোরিয়াল যখন আপনি ইউটিউবে আপলোড করবেন, যত বেশি টিউটোরিয়াল মানুষ দেখবেন, তত বেশি আপনি এখান থেকে উপকৃত হবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাকে একবারে পরিশ্রম করতে হবে। এজন্য বললাম বারবার কিন্তু উপকৃত হবেন।

অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল তৈরি
অনলাইন কোর্স এবং টিউটোরিয়াল তৈরি

কিভাবে আপনি অনলাইনে কোর্স তৈরি করতে পারেন, সে বিষয়টি যদি না জানেন, তাহলে আপনি কমেন্ট করে প্রশ্ন করতে পারেন। তাহলে আপনাদের জন্য কিভাবে আপনার জানা যেকোন বিষয়ের উপরে অনলাইনে কোর্স তৈরি করবেন, সে বিষয়ে পরবর্তীতে গাইড লাইন শেয়ার করব। কোর্স তৈরি করা খুবই সিম্পল একটি বিষয়। কোর্স তৈরি করার জন্য আপনাকে এমন একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে, যেগুলো মানুষের প্রয়োজন। মানুষ ইতিমধ্যে অনলাইনে খুজতেছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না, এরকম একটি টপিকের উপর আপনাকে কোর্স তৈরি করতে হবে। কোর্সগুলো আপনি অনলাইনে বিশাল দামে বিক্রি করতে পারবেন। বিভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করে আপনার কোর্সের লিমিটেশন নির্বাচন করে, আপনি কোর্স বিক্রি করতে পারেন।

৬. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি। ইনফ্লুয়েন্সাররা তাদের ফেসবুক প্রোফাইল এবং twitter প্রোফাইল ইত্যাদি প্রোফাইল গুলোকে ম্যানেজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের হায়ার করে। আপনি যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে বিভিন্ন ইনফ্লুয়েন্স স্যারদের প্রোফাইল গুলো ম্যানেজ করতে পারেন।

একজন ভালো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে যারা বেশি ভালো করতেছে, তাদেরকে আপনি মেসেজ দিতে পারেন। মেসেজ দেওয়ার মাধ্যমে তারা যেন আপনাকে কাজ দেয়, তাদের প্রোফাইল কিভাবে আপনি ম্যানেজ করবেন, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। ফলে তাদের প্রোফাইল আরো বেশি গ্রো করবে। এবং তারা আরো বেশি মানুষের কাছে পরিচিত লাভ করবে। সেই বিষয়টি তাদের জানান দিয়ে ইনফ্লুয়েন্সেরদের কাছ থেকে আপনি কাজ নিতে পারেন।

ভালো একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে আপনি প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত স্যালারি পেতে পারেন। স্যালারি ছাড়াও আপনি চাইলে একাধিক ভিন্ন কাজ করেও আয় করতে পারেন। কারণ শুধুমাত্র একটি ফেসবুক পেজ আপনি কিন্তু ম্যানেজ করবেন না। আপনি একাধিক ইনফ্লুয়েন্সারদের ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করতে পারেন। ফলে আপনি যদি প্রতি মাসে তিনজন ইনফ্লুয়েন্সারের হয়ে কাজ করেন, তাহলে প্রতি মাসে 30 থেকে 40 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন, একজন সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজার হিসেবে।

৭. ড্রপশিপিং ব্যবসা

এই ব্যবসার একটি ঝামেলা হচ্ছে প্রথমেই আপনাকে একটি ভালো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। সে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাকে আপনার প্রোডাক্টগুলো লিস্টিং করতে হবে। লিস্টিং করার পরে আপনাকে একাধিক কারেন্সি সুবিধা দিতে হবে। যেমন: ধরুন বাংলাদেশের মধ্যে বাঙালিরা শুধুমাত্র টাকা দিয়ে শপিং করতে পছন্দ করেন।

এক্ষেত্রে আপনি যদি amazon থেকে কোন প্রোডাক্ট তাদেরকে টাকা ক্রয় করার জন্য সুবিধা দিয়ে থাকেন, তাহলে তারা এই ক্ষেত্রে আপনার কাঝ থেকে বেশি পরিমাণ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। এক্ষেত্রে আপনি অ্যামাজন থেকে ডলার দিয়ে পুণ্য ক্রয় করে সেটা বাংলাদেশী টাকায় বিক্রি করবেন। ফলে এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।

ড্রপশিপিং ব্যবসা
ড্রপশিপিং ব্যবসা

ড্রপ শিপিং ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন কিছু সাপ্লাই দিতে হবে না। আপনার সাপ্লায়ার আপনার আপনার ক্রেতাকে সবকিছু সাপ্লাই করে দিবে। যখন কোন ক্রেতা আপনাকে কোন প্রোডাক্ট এর অর্ডার দিবে, সে অর্ডারটি আপনি কনফার্ম করার পর, সে তথ্যগুলো আপনি সাপ্লাইয়ার কে দিয়ে দিবেন।

সাপ্লায়ার আপনার হয়ে সেই প্রোডাক্টটি ডেলিভারি করবেন। ডেলিভারি করার পর যখন সে টাকা কালেকশন করবে, সে টাকা থেকে একটি লাভের অংশ সরাসরি আপনাকে দিয়ে দিবে।

এবিষয়টি যদি আপনি সরাসরি কাজে নেমে পড়েন, তাহলেই বুঝতে পারবেন। অনেকেই হয়তো বিশ্বাস হতে পারে না যে, কিভাবে একাজটি করে, এবং অন্যজনের প্রোডাক্ট থেকে কিভাবে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করে উপার্জন করা যায়। এটা আসলেই সত্যি কিনা, এটি অনেকে বুঝতে পারে না। কারণ যারা বিজনেস মডেলটি বুঝতে পারে নাই, তারা এবিষয়টি বুঝে উঠতে পারে না। এজন্য আপনাকে অবশ্যই বিজনেস মডেলটি বুঝতে হবে।

৮. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আপনার যদি একটা ব্লগ ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব থাকে, অথবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল থাকে, সেগুলোর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি উপার্জন করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা খুবই সহজ। অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে, তার মধ্যে জনপ্রিয় একটি উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা। আপনি যদি একজন মার্কেটার হতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

কারণ আপনি কন্টেন্ট যেগুলো তৈরি করবেন, সেগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। সেই সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং আপনাকে বিনা বিনিয়োগে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে উপার্জন করার বা ইনকাম করার জন্য সাহায্য করবে। আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে আজকেই আপনার জন্য একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। সে ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে দুই ভাবে আপনি কাজ করতে পারেন। এটি হচ্ছে কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে, আরেকটি হচ্ছে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রোডাক্ট রিভিউ করার মাধ্যমে। ই-কমার্স প্রোডাক্ট রিভিউ করাটা একটু জটিল হলেও আপনি ব্লগিং করে সহজে মার্কেটিং করতে পারেন। ফলে এখান থেকে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

৯. ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট

আপনি যদি একজন রাজার মতো অনলাইনে দক্ষতার সাথে কাজ করতে চান, এবং যে কোন প্রজেক্টে আপনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান, তাহলে আপনাকে একজন ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হিসেবে পরিচিত করতে হবে। আপনি যদি ভালো ওয়েব ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ জানেন, তাহলে অনলাইনে যে কোন সেক্টরে আপনি কাজ করতে পারবেন।

একজন ওয়েব ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন থেকে ইনকাম করার যে উপায়গুলো রয়েছে, তার মধ্যে সেরা অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায় হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডিজাইনার।

একজন ভালো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডিজাইনের হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না। ৫ থেকে ৬ মাস যদি আপনি এটার উপরে কোডিং শিখেন, এবং দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে একজন ভালো ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। ভালো একজন ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনি ভাল একটি আইটি ইন্সটিটিউট থেকে কোর্স করতে পারেন। সেই সাথে আপনি অনেকগুলো ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যেগুলো ফলো করার মাধ্যমে একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবে কাজ শিখতে পারেন।

১০. অনলাইন কনসালটিং সার্ভিস

আপনি যদি মানুষকে পরামর্শ দিতে ভালোবাসেন, তাহলে আপনি অনলাইন কনসাল্টিং সার্ভিস দিতে পারেন। অনেকে রয়েছে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মানুষকে পরামর্শ দিতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে তিনি যেন কনসাল্টিং বা পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টাকে দিয়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার উপায়ে পরিণত করতে পারেন, সেজন্য অনলাইনে এমন একটি সুবিধা রয়েছে। যেন অনলাইনে আপনি কনসাল্টিং সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

একজন অনলাইন কনসালটেন্ট হিসেবে যদি আপনি উপার্জন করতে চান, তাহলে fiverr এর মধ্যে আপনি একটি প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। সে প্রোফাইলের মধ্যে আপনি কনসালট্রেসি এর কি কি বিষয়ের উপরে সার্ভিস দিবেন, সে বিষয়ের উপরে গিগ তৈরি করবেন। গিগ তৈরি করার পর মানুষ সেখান থেকে ক্রয় করবে। যত বেশি ক্রয় করবে, তত বেশি আপনি এখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন।

সাধারণত মানুষ বিজনেসের উপরে কনসালটেন্সি নিতে পছন্দ করে। এজন্য আপনি ই-কমার্সের বিভিন্ন সেক্টরের উপর কনসাল্টের দেওয়ার জন্য আপনার গিগ তৈরি করতে পারেন। গিগ তৈরি করা খুবই সহজ। আপনি যে যে বিষয়ের উপরে মূলত কনসালটেন্সি দিবেন, সে বিষয়ের উপর বিস্তারিত বর্ণনা দিলেই একটি গিগ তৈরি হয়ে যাবে।

কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন?

অনলাইনে একটি ব্যবসা শুরু করা খুবই সহজ। কয়েকটি নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করেই আপনি অনলাইনে ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন। নিজের অনলাইন ব্যবসাটি শুরু করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন। তাহলে আপনি সঠিক এবং সফলভাবে একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন।

  • সঠিক ব্যবসা আইডিয়া নির্বাচন
  • ব্যবসার জন্য একটি নিখুঁত প্ল্যাটফর্ম বাছাই
  • মার্কেট রিসার্চ এবং টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ
  • একটি বিজনেস প্ল্যান তৈরি করা
  • প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডেভেলপমেন্ট
  • মার্কেটিং ও প্রোমোশন কৌশল
  • ফাইন্যান্স ও লিগ্যাল অ্যাসপেক্ট

“সেরা অনলাইন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম: কোনটি আপনার জন্য সেরা?”

সেরা অনলাইন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম
সেরা অনলাইন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম

সফল একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য নিচের প্ল্যাটফর্ম গুলো আপনাকে সাহায্য করতে পারে। মূলত অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেকগুলো প্লাটফর্ম হয়েছে। তার মধ্যে কিছু জনপ্রিয় প্লাটফর্ম রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার ব্যবসা ম্যানেজ করতে পারবেন।

নিচের প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে যেকোনো একটি প্লাটফর্ম আপনি নির্বাচন করেই আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এগিয়ে যেতে পারেন।

  • Shopify
  • WooCommerce
  • Amazon
  • Etsy
  • Fiverr
  • Upwork
  • Teachable
  • Patreon
  • WordPress
  • Squarespace

উপরোক্ত যে প্লাটফর্মগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। এই ১০টি প্লাটফর্ম আপনাদের জন্য যথেষ্ট হবে। এখান থেকে যেকোনো একটি প্ল্যাটফর্ম ইউজ করে আপনি আপনার অনলাইন ব্যবসা শুরু করাতে পারেন। অনলাইন ব্যবসা শুরু করার জন্য এই প্লাটফর্ম গুলো আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করবে। আশা করতেছি এই প্লাটফর্ম গুলোর যেকোনো একটি আপনি নির্বাচন করেই আপনার অনলাইন জগতে বিজনেস শুরু করতে পারবেন।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত সারমর্ম

সম্মানিত পাঠক, আশা করতেছি আপনারা এখানে যে আমরা দশটি অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া শেয়ার করেছি। এগুলো থেকে উপকৃত হতে পারবেন। এখান থেকে আপনি যেকোনো একটি আইডিয়া কে নির্বাচন করে আপনি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার করতে পারেন।

আপনি যদি একটু খোঁজখবর রাখেন, তাহলে অনলাইনে হাজার হাজার অনলাইন বিজনেস আইডিয়া খুঁজে পাবেন, যেগুলো আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলবে। এখানে আমরা বাছাই করা সব আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যেন আপনারা বিব্রান্ত না হয়ে যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আশা করতেছি এই ব্লগ পোস্টে আপনাকে নিজের ব্যবসাটি দাঁড় করাতে সাহায্য করবে।

এমনকি আপনি যদি এখান থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে তারা আপনার পরামর্শ কমেন্টের মাধ্যমে একটি মতামত আমাদেরকে শেয়ার করতে পারেন। যেন আমরা কন্টেন্ট কোয়ালিটি এবং আপনাদের জন্য আরো ভালো সার্ভিস দিতে পারি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ