বর্তমান বিশ্বের মধ্যে হাজার রকমের অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার profitable business পদ্ধতি রয়েছে। আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে এখানে 7 টি সেরা অনলাইন থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি শেয়ার করতেছি। এই 7 টি পদ্ধতি থেকে যে কোন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
যারা নতুন অনলাইনে কাজ করার জন্য চেষ্টা করেন, তাদের জন্য এগুলো Best হবে। কিন্তু আপনি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পেলেই এখান থেকে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য আমাদের আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়বেন। কারণ অর্ধেক পড়লে আপনি বিষয়টি না বুঝতেও পারেন। এজন্য সম্পূর্ণ আইডিয়াগুলো বুঝে নিবেন।
আইডিয়াগুলো বুঝার পরে আপনি এখান থেকে কোন আইডিয়াটা নিয়ে কাজ করবেন সেটি নির্ধারণ করবেন।
Best অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম business:
অনেকেরই মনে হয় এই একটি আর্টিকেল পড়লেই অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিষয়টা জেনে নেওয়া যাবে। অবশ্যই এটি সম্ভব নয়! কারণ এটি হচ্ছে আইডিয়া সম্পর্কে মাত্র একটা গাইডলাইন। এটির মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র নির্দেশনা পাবেন কোন কাজটি করে আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই গাইডলাইনটি পড়ার পরেই আপনি যেই বিষয়টি নির্ধারণ করবেন, সেই বিষয়ের উপরে আপনাকে অন্তত কয়েক মাস প্র্যাকটিস করতে হবে। এবং সেটার উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই এই সেরা বিজনেস প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তাই শুধু দ্রুত কাজ করার চেষ্টা না করে প্রথমেই নিজের দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করুন। এবং অনলাইন থেকে কাজ করে কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে উপার্জন করা যায়! সে বিষয়ে সে বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করুন। শিক্ষা ছাড়া কোন গতি নাই। যদি সঠিকভাবে শিক্ষা অর্জন করেন, তাহলে আপনি এখান থেকে কিভাবে উপার্জন করে? সেটি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন।
7 Best অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম Ways ও Profitable Business
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য এখানে যে 7 best আইডিয়া আমরা শেয়ার করেছি। এই 7 টি আইডিয়া সবার কাছে জনপ্রিয় এবং সবারই মোটামুটি এই বিষয়ের উপরে ধারণা রয়েছে। যদি আপনার আইডিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে এখান থেকে অবশ্যই আপনি অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
বেশি আলোচনা বৃদ্ধি না করে এবার চলুন আমরা জেনে নিই, কিভাবে এই উপায় গুলো থেকে কাজ করে ইনকাম করা যায়? মূলত আমার এই ব্লগ পোষ্টের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, কয়েকটি আপনাদেরকে আইডিয়া শেয়ার করা। যে আইডিয়াগুলো আপনারা বাস্তবায়ন করলেই উপার্জন করতে পারবেন। তবে এমন নয় যে, এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার সাথে সাথে আপনারা এখান থেকে উপার্জন শুরু করবেন।
চলুন তাহলে আমরা এমন কিছু আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেই
১. ফ্রিল্যান্সিং সুযোগ (Best Freelancing Business)
বর্তমানসময়ে বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সবাই ফ্রিল্যান্সিং কে প্রাধান্য দিচ্ছে। আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ থেকে ২০০০ ডলার ইনকাম করা সম্ভব।
তবে ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী আপনাকে দক্ষতা রাখতে হবে। যদি দক্ষতা না থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকম করা অসম্ভব।
বর্তমান সময়ে অনেকগুলো আইটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এমনকি ইউটিউব এর মধ্যে অনেকগুলো টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আপনি যে বিষয়ের উপরে এ কাজটি করতে চাচ্ছেন, সেই বিষয়ের উপরে অনেকগুলো টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। সে নির্দেশ অনুযায়ী আপনি কাজ করে ইউটিউব থেকে বা অন্য কোন জায়গা থেকে কোর্স করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা (Expert Freelancing) অর্জন করতে পারেন।
মূল বিষয় হচ্ছে, এখানে একদমই অবহেলা করা যাবে না। অবহেলা না করা যে কোন একটি বিষয়ের উপরে আপনাকে শিখতে হবে। যদি শিখতে পারেন, তাহলে আপনি উপার্জন করতে পারবেন। অনেকে Freelancing শিখতে গিয়ে একাধিক বিষয়ের উপরে পড়াশোনা করেন। একাধিক বিষয়ের উপর একদম পড়াশোনা করা যাবে না। শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপরে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে, তাহলে আপনি এখান থেকে সফল হবেন।
২. ই-কমার্স এবং ড্রপশিপিং (Popular e-commerce or Drop Shipping Business):
ই-কমার্স এবং ড্রপ শিপিং এ দুইটি ব্যবসা হচ্ছে খুবই লাভজনক এবং জনপ্রিয় ব্যবসা আইডিয়া। আপনি যদি অনলাইন থেকে সত্যিকারের একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ইনকাম করতে চান, তাহলে নিজেই e-commerce or Drop Shipping Business শুরু করতে পারেন। ড্রপ শিপিং বাংলাদেশসহ প্রায় সারা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় ব্যবসা।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনি ড্রপ শিপিং ব্যবসা করতে পারেন। যদি দেশের মধ্যে ব্যবসা করেন ই-কমার্স করতে পারেন, অথবা ইন্টারন্যাশনালি করলে ড্রপ শিপিং ব্যবসা করেন, তাহলে এটি আপনার জন্য দারুন হবে।
অনেকেই ড্রপ শিপিং এবং ই-কমার্স বিজনেস (e-commerce or Drop Shipping Business) এর মধ্যে পার্থক্য বোঝে না। ড্রপ শিপিং আর ই-কমার্সের এর মধ্যে বৃহৎ পার্থক্য রয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। তবে আপনি অনলাইনে এ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। যে ড্রপ শিপিং কাকে বলে? এবং ই-কমার্স কাকে বলে?
নিজে থেকে যদি একটু সতর্ক হন, তাহলেই ড্রপ শিপিং নিয়ে ইউটিউবের মধ্যেই এবিষয় সম্পর্কে নিয়ে পড়াশুনা করে এই Drop Shipping Business শুরু করতে পারেন, অথবা এটি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশের মধ্যে আপনি এই ব্যবসাগুলো শুরু করলে ভবিষ্যতে এগুলোর চাহিদা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। সবসময় খুব ভালো আপনি বিক্রি করতে পারবেন।
ভালো বিক্রি করার জন্য বাংলাদেশের মধ্যে আপনি এক থেকে দুইটি প্রোডাক্ট নির্বাচন করতে পারেন। বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে এই ব্যবসাটি খুবই ট্রেন্ড চলতেছে। এবং এক থেকে দুইটি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে সেটার উপরে অ্যাটেনশন বেশি দেওয়া যায়। এবং বেশি পরিমাণে বিক্রি করা যায়। ফলে এখান থেকে বেশি পরিমাণ প্রফিট করা সম্ভব।
৩. ব্লগিং এবং কন্টেন্ট তৈরি (Favourite Blogging Business Ideas):
নিজেকে কি আপনি একজন ব্লগার মনে করেন! লেখালেখি কি আপনার অনেক বেশি পছন্দের, তাহলে আপনি Blogging Business Ideas দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি ব্লগিংয়ের মাধ্যমে নিজের একাধিক ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারবেন।
আপনি যে বিষয়ের উপরে লেখালেখি করেন না কেন, হয়তো টেকনোলজি বিষয়ে, অথবা আপনি ফাইন্যান্সিয়াল বিভিন্ন বিষয়ে, অথবা হতে পারে আপনি প্রকৃতি সম্পর্কে লেখালেখি করেন। যাই করেন না কেন, আপনি যদি একজন ভালো লেখক হতে পারেন, তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য যথেষ্ট একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম হবে।
এজন্য আপনি আমি পরামর্শ দিব আপনার লেখার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম করে সেখান থেকে উপার্জন করার চেষ্টা করুন।
শুধুমাত্র এই নয়, বর্তমান সময়ে একটি ওয়েবসাইট থেকে google বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইনকাম করা তো অনেক বেশি সহজ কাজ। এমনকি আপনি যদি গুগল বিজ্ঞাপনে এপ্রুভ নিয়ে একটি ওয়েবসাইট বিক্রি করতে চান, তাহলে প্রতিটি ওয়েবসাইট 1 থেকে 2 লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে ফেলতে পারেন। এমনকি আপনি যদি ভালো মানের ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে পারেন, তাহলে কোটি টাকা ও একটি সাইট বিক্রি করা সম্ভব। তবে এবিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে।
আমি আমার ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইটকে বিক্রি করে দিলাম কয়েকদিন আগেই মাত্র ৯০ হাজার টাকা দিয়ে। মাজার বিষয় হচ্ছে এই ওয়েবসাইটি করতে আমার সময় লেগেছে ৫ থেকে ৬ মাস। এই ৫ থেকে ৬ মাস প্রতিদিন আমি এক থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করেছি। আবার অনেকদিন মাঝে মাঝে কাজ করি নাই।
শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টা করে কাজের বিনিময়ে ও ওয়েবসাইটের মধ্যে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করলাম। তাহলে বুঝতে পেরেছেন আপনি শুধু মাত্র ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন। Blogging Business Ideas থেকে খুব ভালো পরিমাণে উপার্জন করা সম্ভব।
আপনার লেখার অভিজ্ঞতা যত বেশি বৃদ্ধি পাবে, তত বেশি আপনি ব্লগিং এ এক্সপার্ট হয়ে যাবেন। এবং কিভাবে ইনকাম করতে হয়? সেটি আপনাকে কাউকে দেখিয়ে দিতে হবে না। নিজেই এ কাজটি করতে পারবেন।
৪. অনলাইন টিউটরিং এবং শিক্ষণ (Digital Teacher Business)
Udemy এবং Coursera-এর মতো অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মের আপনার তৈরি করা বিভিন্ন আকর্ষণীয় কোর্স বিক্রি করতে পারেন। শর্ট কোর্স বিক্রি করাটাই সবচেয়ে লাভজনক। বর্তমান সময়ে তবে আপনি চাইলে লং কোর্স, অথবা দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন লাইভ কোর্স ও করাতে পারেন।
আমার জানা অনেক পরিচিত বন্ধু আছে, যারা শুধুমাত্র ইউটিউবের মধ্যে তাদের কোর্সগুলো বিক্রি করেন। ইউটিউবের মাধ্যমে কোর্স বিক্রির পাশাপাশি তারা youtube এর বিজ্ঞাপন থেকে ইনকাম করতে পারেন। এবং সাথে সাথে ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারেন।
তাই আপনি যদি নিজেকে অভিজ্ঞ একজন কোর্স তৈরি কারক ভাবেন, তাহলে আপনি এই কোর্সগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে বিভিন্ন দিক থেকে উপার্জন করতে পারবেন।
সত্যি বলতে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার যথেষ্ট পরিমাণে দক্ষতা লাগবে। জটিলতা কিছু চিন্তা করার প্রয়োজন নাই। সবকিছু অনুসরণ করে আপনি অনলাইনে কাজ করে উপার্জন করতে পারেন। যারা অনলাইন থেকে কাজ করে টাকা আয় করতে চায়, তাদের জন্য এবিষয়গুলো খুব সহজ। শুধুমাত্র নিজের কাজে মনোযোগ দিতে হয়।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট (Trending Social Media Management Job):
পুরো বিশ্বের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর চাকরি (Trending Social Media Management Job) চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটাদের অনেক বেশি অভাব রয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের যারা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার রয়েছে, তারা কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করার পাশাপাশি সারা বিশ্বের মধ্যে চাকরি করতেছে।
কারণ বর্তমান সময়ে দিন দিন ডিজিটাল প্লাটফর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মাধ্যমে কাজের সোর্স তৈরি হচ্ছে। আপনি যে পরিমাণ কাজের ক্ষেত্র দেখবেন, সে পরিমাণ কাজের জন্য Trending Social Media Management তৈরি হয়নি। Trending Social Media Management করার জন্য যথেষ্ট ভালো একটি উদ্যোগ হবে। এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করার জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চাকরি পাইতে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হবে। এই বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করার জন্য শিখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনি প্রথমে ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত বেসিক কোর্স করতে পারেন। এরপরে এ বিষয়ে আরো নিজের দক্ষতাকে ঝালাই করে নেওয়ার জন্য advance একটি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের কোর্স করতে পারেন।
আশা করতেছি এই কোর্সগুলো করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে অনেক বেশি দক্ষ করে তুলতে পারবেন। এটিকে আপনার ব্যবসা হিসেবে চালিয়ে নিতে পারবেন। এবং অনলাইন থেকে উপার্জনের জন্য এটি সেরা একটি মাধ্যম বলা যায়।
৬. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন
আপনার যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইনে প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকে, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে আপনার সার্ভিস বিক্রি করতে পারেন, এটার চাহিদা অনেক বেশি। ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা থেকে শুরু করে লোগো এবং ব্র্যান্ড প্রমোশন ডিজাইন করা পর্যন্ত, ওয়েব ডেভেলপার কাজ রয়েছে।
এক কথায় আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে এই প্রফেশন এর মধ্যে আপনার কোন কাজের অভাব হবে না। শুধুমাত্র আপনাকে শুরু করতে হবে। শুরু করাটাই হচ্ছে এবিষয়টির মূল সিদ্ধান্ত।
যদি আপনি একটা Web development ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে চান, তাহলে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা খুবই সহজ। কারণ এখানে প্রতিযোগিতা কম।
তবে এমনটি একেবারে সহজ ভাবলে চলবে না। কারণ আপনাকে এখানে দক্ষ একজন কোডার হতে হবে। আপনি যদি কোডিং এ ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, তাহলে আপনি এই ওয়েব ডেভলোপারের ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। কোডিং যত বেশি ভালো জানবেন, তত বেশি আপনি এই প্রফেশনে নিজের দক্ষতা দেখাতে পারবেন।
যারা বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত মানের ওয়েব ডেভলপার রয়েছে, তারা মূলত বাংলাদেশি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে না। বরং তারা বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির হয়ে কাজ করেন। তাই আপনিও নিজের দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে কাজ করে ইনকাম করার জন্য নিজের কোডিং লেভেল বাড়াতে পারেন। কোডিং লেভেল যত বেশি বাড়াবেন তত বেশি আপনি উপকৃত হবেন।
৭. অনলাইন সার্ভে এবং বাজার গবেষণা
বাংলাদেশের মধ্যে এটির চাহিদা কম থাকলেও ইন্টারন্যাশনাল বাজারগুলো ব্যপক রয়েছে। যখন কোন একজন উদ্যোক্তা তার নতুন ব্যবসা শুরু করেন, সে ব্যবসা সম্পর্কিত মানুষকে পরিচিত করাতে এবং ব্যবসা কিভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন মতামত জানার জন্য সার্ভে করিয়ে নেন।
আর সার্ভে করার মাধ্যমে আপনি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন। আপনি স্টুডেন্ট অথবা চাকরির পাশাপাশি এই সার্ভের কাজটি যদি করতে চান, তাহলে অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য এটি বেটার একটি মাধ্যম হবে।
আমার পরিচিত অনেক বন্ধু-বান্ধব রয়েছে তারা একটু টেকনিক্যালি অবশ্যই দক্ষ। এজন্য তারা বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে সার্ভে করেন। এবং সার্ভে করার মাধ্যমে প্রতি মাসেই ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় ইনকাম করতে পারেন। এমনকি তারা বিভিন্ন বিষয়ের উপরে চাকরি করেন এবং কাজ করে তাদের দক্ষতা লেভেল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তাদের ইনকাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান, তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য যথেষ্ট ভালো হবে। অনলাইন থেকে খুব সহজে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত সারমর্ম
সম্মানিত পাঠক, আশা করতেছি আপনারা অনলাইনে কাজ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে হয়? এবিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। আমাদের এই ওয়েবসাইট গুলোতে যে সকল তথ্য আপনাদের জন্য শেয়ার করা হয় এতথ্যগুলো অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবন থেকে নেওয়া। এবং সব কিছুই রিয়েল।
আপনারাও এগুলো আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে কাজে লাগাতে পারেন। ইনশাল্লাহ এখান থেকে সফল হবেন। আমরা নিজেরাই অনলাইন থেকে কিভাবে কাজ করে ইনকাম করতে হয়? এবিষয়ের উপরে সবসময় পড়াশোনা করি, এবং নিজেরা ব্যক্তিগতভাবে কাজ করি। এমনকি আমি ব্যক্তিগতভাবে ২০১৫ সাল থেকে ব্লগিং করে এখানে উপার্জন করা আসছি।
আপনি যদি অনলাইন থেকে কাজ করে উপার্জন করতে চান, সত্যিই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। এবং বিষয়টি একদমই সহজ নয়! এজন্য আপনি অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ মেন্টরের সাহায্য নিতে পারেন। মেন্টর আপনাকে সাহায্য করবে, কিভাবে আপনি অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন? সে বিষয়ের উপরে। আশা করতেছি আপনি সঠিক গাইডলাইন পেয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ