Digital marketing কি ও ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও প্রয়োজনীয়তা

ডিজিটাল মার্কেটিং কি, digital marketing কিভাবে শুরু করতে হবে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমান সময়ের ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া সবকিছুই অকেজো। অনলাইনে মার্কেটিং এর রাজত্ব করে যাচ্ছে এই ডিজিটাল মার্কেটিং। তাই অনলাইনে আপনি যেকোনো ধরনের বিজনেস করতে গেলে বা অফলাইন বিজনেস কে বেশি মানুষের কাছে পরিচিত করাতে চাইলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করতে হবে।

তাই আজকের আর্টিকেলটি যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার বিষয়ে আগ্রহী এবং digital marketing কি, সে বিষয়ে জানার জন্য খুবই উৎসাহি, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আমরা এই আর্টিকেলটির মধ্যে শেয়ার করব।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা:

ব্যক্তিগত অথবা যে কোন ব্যবসা বা কোম্পানির জন্য পরিচিতি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার অপরিহার্য। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অবগত নয় তারা কিন্তু অনলাইনে রাজত্ব করতে পারে না। এমন আমার পরিচিত অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনেক বেশি টাকা বিনিয়োগ করার পরেও মার্কেটিং সেক্টরে তারা খুবই অসহায়।

মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা
মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা

এজন্য আপনি যদি সঠিকভাবে digital marketing প্রসেসটি বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত পরিচিত অথবা আপনার কোম্পানিকে মানুষের কাছে পরিচিত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ বলা যায়।

প্রায় ৮৫% বিক্রেতা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করার জন্য কাজ করে থাকেন। সেই সাথে প্রায় ৪৫% বাংলাদেশী ক্রেতারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য আগ্রহী। ৪৫% ক্রেতারা যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে পাওয়া যায়। সুতরাং এখান থেকে বোঝা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিনিয়ত ইন্টারনেট ব্যবহারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মানুষ বর্তমানে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে শপিং থেকে শুরু করে দৈনন্দিন বিভিন্ন বিনোদন সহ সকল বিষয় সম্পন্ন করার আগ্রহ পোষণ করে। এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন অনলাইন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে ইন্টারনেটে আপনার ক্রেতাদেরকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। এজন্য বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজন হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা তারাই বেশি বুঝতে পারেন। যারা ইতিমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অবগত নয়, তারা এ আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে অবশ্যই এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিপূর্ণ সংজ্ঞা আয়ত্ত করতে পারবেন।

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ শেষ হওয়া পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন, এবং আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার অজানা বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। অহ! হ্যাঁ, আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।

ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) কি?

অনলাইনে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে যে কোন পূণ্য বা সার্ভিস বিক্রি করার জন্য প্রচারণা করার প্রক্রিয়াকে Digital marketing বলা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একাধিক সংজ্ঞা হতে পারে, তাই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাদেরকে বোঝানোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এই আর্টিকেলটিতে বিশদ আলোচনা আমরা করতে যাচ্ছি।

অন্য কথায় যদি বলতে যাই তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, এবং অন্যান্য ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ওয়েবসাইট কিংবা Apps এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে প্রচারণা করে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস ক্রয় বিক্রয় করার জন্য যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, তাকে অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।

digital marketing
Digital marketing

একসময় ডিজিটাল মার্কেটিং এর সংজ্ঞা আমরা বুঝতে না পারলেও বর্তমান সময়ে এটি মানুষের জন্য খুবই সহজ একটি সংজ্ঞা। তাই আশা করছি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে জটিল কোন শব্দ বা সংজ্ঞা ব্যবহার করার প্রয়োজন নাই। যারা digital marketing নিয়ে বেসিক চর্চা করেন, তাদের জন্য হয়তো একটু ডিটেইলসে বলা প্রয়োজন।

তবে আশা করতেছি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বৃহৎ তথ্য এখান থেকে শিখতে পারবেন। সেই সাথে আমাদের এই ওয়েবসাইটে আমরা অনলাইনে বিজনেস আইডিয়া এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আরো তথ্য দিয়ে একাধিক আর্টিকেল প্রকাশ করেছি। যার মাধ্যমে আপনারা অনলাইন মার্কেটিং শিখতে পারবেন এবং কিভাবে একটি অনলাইনে পরিপূর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়, সে বিষয়ে এখান থেকে জানতে পারবেন।

যাইহোক আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। আশা করতেছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, অনলাইনে যে সকল পণ্য বা সার্ভিস বিক্রয় করার জন্য আমরা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রচারণা করি, তাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।

অনেকের মতে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ক্রয় বিক্রয়ের কার্যক্রমের সকল বিষয়ের সমন্বয় কে digital marketing বলা হয়।

এখন হয়তো আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে সম্পর্কে জানতে পারলাম কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করতে হবে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আমাদের কি কি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে এ বিষয়ে কিন্তু আমরা এখনো অবগত নয়। তাই আমাদেরকে পরিপূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে, যেন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার বিষয়ে গাইডলাইন পেতে পারি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করতে হবে, সে বিষয়ে আমরা সহজে বুঝতে পারব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?

বিভিন্ন শাখা প্রশাখার সমন্বয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং গঠিত হয়। আমরা এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কে জানতে পারবো। ডিজিটাল মার্কেটিং কে আপনি একটি বটগাছের সাথে তুলনা করতে পারেন। কারণ Digital marketing কয়েকটি প্রকারের সমন্বয়ে নয়।

বরং একাধিক প্রকার ক্যাটাগরি নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং গঠিত হয়। এমনকি এটি বর্তমান সময়ের যে সকল মার্কেটিং পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভবিষ্যতে যদি মার্কেটিং এর আরো কোন মাধ্যম তৈরি হয় সেগুলোকেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত করা হবে।

তাই ডিজিটাল মার্কেটিং কে কয়েকটি প্রকারের সমন্বয়ে আলোচনা করে শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। মানুষ যত বেশি অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য আগ্রহী হবে, তত বেশি বিক্রেতারা বিভিন্ন নতুন নতুন উদ্ভাবনীয় মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করবে। ফলে নতুন নতুন পদ্ধতি তৈরি হবে এবং সেগুলোও ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকার হিসেবে যুক্ত হবে।

বর্তমান সময়ে যে সকল digital marketing এর প্রকার প্রচলিত রয়েছে সে সকল বিষয়গুলো নিয়ে এখন আমরা আলোচনা করব। যেন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য একটি বেসিক ধারণা এখান থেকে পেয়ে যায়।

Digital marketing এর প্রকার –

Digital marketing এর প্রকার
Digital marketing এর প্রকার

অনলাইন মার্কেটিং এর অনেকগুলো প্রকারের সমন্বয়ের যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং গঠিত হয় তাই এর অনেকগুলো প্রকার রয়েছে। এখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকার গুলো সম্পর্কে জেনে নিব। নিচের তালিকা থেকে আপনি digital marketing এর বিভিন্ন প্রকারের আইডিয়া নিতে পারেন।

নিচের মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তাই আপনি যদি শুধুমাত্র একটি মাধ্যম আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলে সে মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে আপনার মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারবেন। তবে যদি আপনি একজন নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচয় দিতে চান, তাহলে অবশ্যই Digital marketing এর সকল মাধ্যম সম্পর্কে আপনার গভীর ধারণা থাকতে হবে।

যদি নিচের প্রকার গুলো সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান না থাকে, তাহলে কিন্তু নিজেকে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচয় দেওয়া সম্ভব নয়। যদি আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, তাহলে আপনাকে নিচের প্রকার গুলো পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করতে হবে।

জেনে নেওয়া যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন প্রকার:

1. এসইও
2. এসইএম
3. সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
4. ইমেইল মার্কেটিং
5. কন্টেন্ট মার্কেটিং
6. Influencer marketing
7. ডিজিটাল ডিসপ্লে মার্কেটিং
8. মোবাইল মার্কেটিং
9. ভিডিও মার্কেটিং
10. রিভিউ প্রমোশন
11. ইনবাউন্ট মার্কেটিং
12. আউটবাউন্ট মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

অনলাইনের যাত্রার শুরু থেকেই মার্কেটিং এর যাত্রা শুরু হয়। অর্থাৎ অনলাইনে যখন মানুষ কিছু বেচাকেনা করার চিন্তাভাবনা করে, তখন অবশ্যই মার্কেটিং বিষয়টাকেই প্রথমে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কারণ আপনি যদি মার্কেটিং বিষয়টি বুঝতে না পারেন, তাহলে কখনো বিক্রয় করতে পারবেন না।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

সহজ কথায় যদি বলতে যাই তাহলে বিক্রয় করার যে চিন্তা-ভাবনা প্রথম মাথায় এসেছিল সেই চিন্তা ভাবনাকেই মার্কেটিং বলা হয়।

সেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কখনো Digital marketing এর চাহিদা কমেনি। বরং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মার্কেটিং পদ্ধতি তৈরি হচ্ছে এবং মার্কেটিং এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে থাকেন, তাদেরকে আমি এক কথায় পরামর্শ দিব আপনারা Digital marketing এর ভবিষ্যৎ চাহিদা নিয়ে চিন্তা করবেন না। এটি অসাধারণ একটি পেশা যেখানে প্রতিনিয়তই আপনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। এই ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনটাকে আপনি সহজ একটা প্রফেশন মনে করলে হবে না। এটার জন্য সব সময় আপনাকে ক্রিয়েটিভ ভাবে চিন্তা করতে হবে।

অনলাইনে যত ধরনের কার্যক্রম রয়েছে তার মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই জটিল একটি বিষয়, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের ছোটখাটো মার্কেটার মতে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে একমাত্র কাজ যেটা করা খুবই সহজ। এরা এটাও বলে এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে খুব সহজেই অর্থ উপার্জন করা যায়।

খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের কথা শুনে অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে দীর্ঘদিন সময় পার করে থাকেন, কিন্তু যথেষ্ট সফলতা না পেয়ে পুনরায় হতাশ হয়ে থাকেন। Digital marketing থেকে সফলতা পেতে হলে আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট পড়াশুনা এবং কাজ করার ধৈর্য রাখতে হবে।

এই মার্কেটিং প্রফেশন থেকে আউটপুট পাওয়ার জন্য আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হবে। দ্রুত কোন কিছুই এখান থেকে উপার্জন করা সম্ভব হয় না। তাই আপনাকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে হলে দীর্ঘ গোল সেট করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি এই প্রফেশনে ভালো একটি বিজনেস দাঁড় করাতে পারবেন।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন?

এপ্রশ্নটি আমাকে অনেকেই করে থাকেন কারন আমি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনলাইনে কাজ করে থাকি। Digital marketing নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে চিন্তাভাবনা একেবারেই ফ্রেশ করতে হবে। অর্থাৎ আপনি আজকে Digital marketing নিয়ে কাজ শুরু করলেন কয়েক দিনের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন এই মানসিকতা রাখা যাবে না।

আমার পূর্বের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন এটি দীর্ঘ একটি পথ পাড়ি দেওয়ার প্রফেশন। ডিজিটাল মার্কেটিং কখনো শেষ করে বিদায় জানানো যাবে না। এ কথাটির অর্থ হচ্ছে আপনি প্রতিনিয়ত ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে শিখতে থাকবেন এবং কাজের মধ্যে তা প্রয়োগ করতে থাকবেন।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন

কখনো digital marketing এর টেকনিক গুলো শেখা শেষ হয় না। যত নতুন নতুন সার্চ ইঞ্জিনের আপডেট চলে আসবে, তত নতুন নতুন কৌশল আপনাকে শিখতে হবে। তাই একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে সবসময় নতুন নতুন কৌশল গুলো শেখার জন্য আপডেট থাকতে হয়। এবং সেই আপডেট গুলোকে কিভাবে অতিক্রম করা যায় এবং কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়।

তাই যারা একজন নতুন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে প্রফেশন শুরু করতে চাচ্ছেন, অথবা আপনি নিজের অনলাইন বিজনেসকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেসিক ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে আপনাকে প্রাথমিকভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

এরপরে আপনি ইউটিউব এবং বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক পড়াশোনা করবেন।

আমাদের এই ওয়েবসাইটের মধ্যে আমরা Digital marketing এর বিভিন্ন টিউটোরিয়াল নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করে থাকি। সেই সাথে আমার ইউটিউব চ্যানেলেও আমি ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগিং, এবং অনলাইন বিজনেস নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিও আপলোড করে থাকি। যার মাধ্যমে এখানে অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

আমার কথা থেকে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যদি আপনি একজন নতুন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে যাত্রা শুরু করতে চান, তাহলে আপনি প্রাথমিকভাবেই এই প্রফেশনে বিনিয়োগ না করে মন স্থির করার পরেই বেসিক বিষয়গুলো অনলাইন থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতেই শেখার চেষ্টা করবেন। ফ্রিতে যখন আপনি অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য কাজ শুরু করবেন, তখন যে সকল বিষয়গুলো আপনার মাথায় বুঝে আসবে না সে বিষয়গুলোকে আপনি সব সময় নোট করে রাখবেন। এবং যখন আপনি সময় পাবেন, তখন সেই বিষয়টা সমাধান কিভাবে করতে হয় তা ইউটিউব এবং সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে লিখে খুঁজে বের করবেন।

এমন করে আপনি প্রাথমিক ১ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত প্র্যাকটিস করতে পারেন। পরবর্তীতে যখন একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে চাইবেন, তখন বেসিক বিষয়গুলো নিয়ে যে অনলাইনে পড়াশোনা করেছেন তা কাজে আসবে। তখন বেসিক লার্নিংয়ে ছোট ছোট প্রশ্নগুলোকে নোট করার পাশাপাশি একটি কাজের ধারাবাহিক লিস্ট তৈরি করে ফেলবেন, তখন সবকিছু সহজ মনে হবে।

যখন মনে করবেন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বেসিক বিষয়গুলো বুঝে উঠতে পেরেছেন। এখন আপনার এডভান্স লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পড়াশোনা করা প্রয়োজন। তখন আপনি যেকোনো একটি আইটি ইনস্টিটিউটে অথবা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন লাইভ কোর্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন। যেহেতু আপনার ইতিমধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বেসিক জানা রয়েছে। তাই আপনি যখন কোন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে এডভান্স লেভেলের কোর্স করবেন, তখন আপনি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন।

বেসিক না জেনে যদি আপনি কোর্সে ভর্তি হয়ে যান, তখন আপনি আপনার ট্রেইনারকে কোন ধরনের প্রশ্ন করতে পারবেন না। ফলে কোর্স শেষে আপনি শূন্য আউটপুট পাবেন। তাই যদি আপনি digital marketing শেখা শুরু করতে চান, তাহলে আমার দেওয়া কৌশল অনুসরণ করে প্রাথমিকভাবে মার্কেটিং এর কৌশল গুলো শেখা শুরু করতে পারেন।

বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে জনপ্রিয় কিছু অনলাইন ভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোতে আপনি এডভান্স লেভেলের ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সহ আরো বিভিন্ন অনলাইন স্কেল সম্পর্কিত কোর্স করতে পারবেন। সেই সাথে কোর্স শেষে আপনি একটি সার্টিফিকেট এখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলাদেশি আইটি প্রতিষ্ঠান:

বহুব্রীহি
টেন মিনিট স্কুল
লার্নিং বাংলাদেশ

Digital marketing এর সুবিধা ও অসুবিধা:

Digital marketing এর সুবিধা ও অসুবিধা
Digital marketing এর সুবিধা ও অসুবিধা

অনেকক্ষণ ধরে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেছি। যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সংজ্ঞা, ভবিষ্যৎ চাহিদা, এবং এই মার্কেটিং প্রফেশন নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কৌশল। এখন আমরা আলোচনা করব digital marketing এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনারা এই মার্কেটিং প্রফেশন সম্পর্কে আরো ভালো তথ্য এখান থেকে শিখতে পারবেন।

প্রথমে আমরা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব:

এই প্রফেশনের কিছু অসুবিধা রয়েছে যেগুলো আপনাকে সুবিধায় পরিণত করতে হবে। যারা এই অসুবিধাগুলোকে অতিবাহিত করতে সক্ষম হবেন না তারা ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশন নিয়ে কাজ শুরু করবেন না। কাজ শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরের দেওয়া আলোচনা গুলো সম্পন্ন অনুসরণ করতে হবে। যেমন অসুবিধা গুলোর মধ্যে রয়েছে:

• অনেকদিন ধরে পড়াশোনা করতে হয়
• দ্রুত সফলতা পাওয়া যায় না
• সিডিউল অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে হবে
• বিভিন্ন পেইড টুলস এবং ফ্রি টুলস ব্যবহার করার দক্ষতা থাকতে হবে
• শিখার কোন শেষ থাকে না।

এবার আমরা ও সুবিধাগুলো নিয়ে আলোচনা করব:

ডিজিটাল মার্কেটিং এর একাধিক সুবিধা রয়েছে যার জন্য এই প্রফেশনে কাজ করার জন্য অনেকেই আগ্রহী হয়ে থাকেন। Digital marketing কাজের ধারাবাহিক সিডিউল অনুসরণ করলেই আপনি খুব সহজে এটা আয়ত্ত করতে পারবেন। এটির সুবিধা বেশি হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে:

• এটি সহজে আয়ত্ত করা যায়
• শিখার পাশাপাশি বিভিন্ন প্লাটফর্ম এ কাজ করা যায়
• ফ্রিতে একাধিক শেখার সুযোগ রয়েছে
• পেইড টুলস ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে ফ্রি টুলস ব্যবহার করা যায়
• যেকোনো একটি শাখা নিয়ে প্রাথমিকভাবে মার্কেটপ্লেসে কাজ কর শুরু করা যায়
• ক্লায়েন্টদেরকে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপরে সার্ভিস দিয়ে অর্থ উপার্জন করা যায়
• ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিপূর্ণ এক্সপার্ট না হলেও একটি শাখা নির্বাচন করে সার্ভিস প্রদান করা সহজ হয়।

ব্যবসার উপর ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রভাব:

দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্যবসার উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহজ কথায় বলতে গেলে অনলাইনে যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্য Digital marketing ছাড়া সবকিছুই ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই যারা অনলাইন ব্যবসা করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করছেন, তাদের প্রাথমিকভাবে ব্যবসা শুরু না করে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন।

ব্যবসার উপর ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রভাব
ব্যবসার উপর ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রভাব

এমনকি আপনি যদি কোন ডিজিটাল মার্কেটারকে হায়ার করে আপনার কোম্পানির কাজগুলো করাতে চান, সে ক্ষেত্রেও আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেসিক কাজগুলো জানা থাকতে হবে। যেন একজন ডিজিটাল মার্কেটার আপনাকে কিভাবে সার্ভিস প্রদান করতেছে সে বিষয়ে আপনি বুঝতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে অনেক ধরনের সার্ভিস ক্যাটাগরি রয়েছে।

যেমন:

1. হোয়াইট হেড মেথড
2. গ্রীন হেড মেথড
3. ব্ল্যাক হেড মেথড

সর্বদা চেষ্টা করবেন দীর্ঘদিন অনলাইন ব্যবসা করার জন্য হোয়াইট হেড মেথড ব্যবহার করার জন্য। অনেক ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে সার্ভিস ক্রয় করার ক্ষেত্রে গ্রীন হেড অথবা ব্ল্যাক হেড মেথড সার্ভিস দিতে পারে। যদি প্রাথমিকভাবে আপনার বেসিক জ্ঞান না থাকে, তাহলেই আপনাকে তারা ঠকিয়ে দিতে পারে। এইজন্য অনলাইন ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

গ্রিন হেট মেথড এর মাধ্যমে দ্রুত অনলাইনে সফলতা পাওয়া যায়, কিন্তু কোন না কোন সময় গিয়ে আপনি আপনার ব্যবসাটাকে হারাতে পারেন। কারণ গ্রীন হেড মেথড বলতে এখানে কিছুটা অবৈধ কাজকে বোঝানো হয়। যেটা কিছুটা অবৈধ বলে বোঝানো হয়েছে। তবে এটা কিছুটা করতে করতে যখন প্রতিনিয়ত এরকম অবৈধ কাজ করা হয়ে থাকে, তখন যেকোনো একটি কারণে আপনার ব্যবসাটাকে আর এগিয়ে নিতে পারবেন না।

আর অন্যদিকে ব্ল্যাক হেড মেথড বলতে এমন কাজকে বোঝানো হয়। যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ খারাপ পদ্ধতিতে ব্যবসা করা যায়। যারা অনলাইনে ব্ল্যাকহেড মেথড ব্যবহার করে ব্যবসা করে থাকেন, তারা ক্ষণস্থায়ী হিসেবে তাদের ব্যবসা এগিয়ে নিতে পারেন। এই পদ্ধতি যারা ব্যবহার করেন, তারা নিশ্চিত কোন না কোন সময় তাদের ব্যবসা হারিয়ে ফেলতে পারে। এবং এই ক্ষেত্রে বিজনেস নষ্ট হতে কয়েক মিনিটের সময় প্রয়োজন হতে পারে, অথবা কয়েকদিন বা কয়েক মাস।

তবে এটা নিশ্চিত যে যারা ব্ল্যাক হেড মেথড ব্যবহার করে কাজ করেন, তারা নিশ্চিত তাদের ব্যবসাটাকে ধ্বংস করে। যদিও তারা অল্প সময়ের মধ্যে কিছু ভালো টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়।

একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আমি আপনাদেরকে সবসময় পরামর্শ দেব আপনারা কখনো অনলাইনে গ্রীনহেট মেথড এবং ব্ল্যাকহেড মেথড অনুসরণ করবেন না। এই পদ্ধতি গুলো কখনো আপনার জন্য সুফল নিয়ে আসবে না এবং আপনি যাদেরকে সার্ভিস দিবেন তাদের ব্যবসা ও যেকোনো সময় শেষ হয়ে যাবে।

তাই একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সার্ভিস দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে এই ধরনের সার্ভিস থেকে বিরত থাকতে হবে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে যদি কারো কাছ থেকে সার্ভিস গ্রহণ করে থাকেন, তাহলেও আপনাকে এ ধরনের সার্ভিস নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সুতরাং আমার পরিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসার মধ্যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ব্যবসার মধ্যে মৌলিকভাবে প্রভাব ফেলে। আপনি যত গ্রীনহেট মেথড এর মাধ্যমে এগিয়ে যেতে পারবেন, তত বেশি আপনার ব্যবসার সুফল পেতে থাকবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স এ কি কি থাকে?

ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে:

  1. ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরিচিতি:
    • ডিজিটাল মার্কেটিং কি
    • এর গুরুত্ব ও সুবিধা
  2. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO):
    • কীওয়ার্ড রিসার্চ
    • অন-পেজ ও অফ-পেজ SEO
    • লিংক বিল্ডিং
    • SEO টুলস ব্যবহারের কৌশল
  3. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM):
    • গুগল অ্যাডওয়ার্ডস পরিচিতি
    • পেইড সার্চ ক্যাম্পেইন তৈরি
    • কনভার্সন ট্র্যাকিং ও অপটিমাইজেশন
  4. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM):
    • ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিঙ্কডইন মার্কেটিং
    • সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ক্রিয়েশন
    • এনগেজমেন্ট স্ট্রাটেজি
  5. ইমেইল মার্কেটিং:
    • ইমেইল ক্যাম্পেইন ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
    • ইমেইল লিস্ট ম্যানেজমেন্ট
    • ইমেইল অটোমেশন ও পারফরমেন্স ট্র্যাকিং
  6. কনটেন্ট মার্কেটিং:
    • ব্লগিং ও আর্টিকেল রাইটিং
    • ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েশন
    • ইনফোগ্রাফিক্স ও অন্যান্য ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট
  7. ওয়েব অ্যানালিটিক্স:
    • গুগল অ্যানালিটিক্স পরিচিতি
    • ওয়েবসাইট পারফরমেন্স মেজারমেন্ট
    • ডেটা ইন্টারপ্রেটেশন ও রিপোর্টিং
  8. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
    • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কৌশল
    • পার্টনারশিপ ম্যানেজমেন্ট
    • কমিশন ট্র্যাকিং ও অডিট
  9. মোবাইল মার্কেটিং:
    • মোবাইল অ্যাডভার্টাইজিং
    • SMS ও পুশ নোটিফিকেশন মার্কেটিং
    • মোবাইল অ্যাপ প্রমোশন
  10. ই-কমার্স মার্কেটিং:
    • ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
    • প্রোডাক্ট পেজ অপটিমাইজেশন
    • অনলাইন সেলস স্ট্রাটেজি

এই কোর্সগুলোতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ, প্রজেক্ট ও অ্যাসাইনমেন্ট সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগে?

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত দিন লাগবে তা নির্ভর করে আপনার শেখার গতি, পূর্বের জ্ঞান, এবং কোন স্তরে আপনি দক্ষ হতে চান তার ওপর। তবে সাধারণত, একটি বেসিক কোর্স শেষ করতে ১ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে। এর পর আরও গভীরভাবে শিখতে চাইলে, আরও কিছু মাস সময় লাগতে পারে। নিয়মিত প্রাকটিস ও অভিজ্ঞতা অর্জন করলে, ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে ভালো দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় SEMএর পূর্ণরূপ কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় SEM এর পূর্ণরূপ হলো “সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং”।

সারমর্ম আলোচনা

এই আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পরিপূর্ণ একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা দিয়ে শেষ করার চেষ্টা করেছি। যদি আপনি এই আলোচনাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনি Digital marketing সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে সক্ষম হয়েছেন। যে সকল বিষয়গুলো এখনো আপনার বুঝে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না, সে সকল বিষয়গুলো নিয়ে আপনি আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন।

আমাদের এক্সপার্ট অনেকেই রয়েছেন, যারা আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য সব সময় অপেক্ষায় থাকেন। আপনার প্রশ্নগুলো করার জন্য নিচের কমেন্ট বক্সটি ব্যবহার করতে পারেন। সেই সাথে যদি প্রিমিয়াম কোন মার্কেটিং সম্পর্কিত সার্ভিস প্রয়োজন হয়, তাহলে সরাসরি আমাদের ফেসবুকে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারেন।

সম্মানিত পাঠক, আমরা সবসময় আমাদের এই ব্লগ ওয়েবসাইটের মধ্যে অনলাইন বিজনেস, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং বিভিন্ন টেকনোলজি টিপস পোস্ট করতে থাকি। আপনারা আমাদের এই আর্টিকেল গুলো বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন, যেন আমরা এখান থেকে আরো একাধিক পাঠক সংগ্রহ করতে পারি। এবং এখান থেকে আমরা উৎসাহী হয়ে আপনাদের জন্য আরও ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারি।

ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত আজকের লেখাটি আমরা এখানে সমাপ্ত করছি। পরবর্তীতে Digital marketing সম্পর্কিত আরো নতুন নতুন আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ